আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

♦ যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রেও
♦ নির্বাচনে আগ্রহীরা ঘুরছেন এলাকায়
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কাঁদছে গাছ, ক্ষমা চাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী

শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩, দুপুর ০৩:৫৫

Advertisement Advertisement

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গাছের কষ্টে ক্ষমা চেয়ে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্বব্যিালয়ে হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে আজ দুপুর একটায় বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক সংগঠন রণন এর সভাপতি ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। সঞ্চালনা করেন রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহবায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্ত।

ক্যাম্পাসে হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে ‘পালাম’ নামের একটি বিরল প্রজাতির গাছের চারা তিনবছর আগে রোপণ করা হয়। গত ১৭ নভেম্বর রাত আটটার দিকে গাছটির সমস্ত ডাল-পালা কেটে ফেলা হয়। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ দুটি প্রতিবাদী বোর্ড স্থান করেন। একটিতে লেখা- ‘ প্রিয় পালাম গাছ, নির্মমভাবে তোমার সমস্ত ডালপালা কাটার হাত থেকে রক্ষা করতে পারিনি। আমাদর ক্ষমা করে দিও। কথা দিচ্ছি, যারা গাছ কেটেছে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা আমরা করবোই।’ অপর বোর্ডে লেখা- ‘আমি পালাম গাছ, আমার সমস্ত ডালপালা নির্মমভাবে কেটে ফেলায় আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি। সংবেদনশীল মানুষ আমার পাশে দাঁড়াও।’

অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মন্ডল, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. নিত্য ঘোষ, শিক্ষক খাইরুল ইসলাম পলাশ, গ্রিন ইকোর সংগঠক নুরুন্নেসা, গ্রিন ভয়েসের বেরোবি শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, বিতর্ক সংগঠন বিআরইউডিএফ এর সংগঠক প্রিতম দেবনাথ বক্তৃতা করেন।
অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বিরল প্রজাতির গাছ পালাম এর যারা ক্ষতি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ জানাবো, প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেবো।

আসাদ মন্ডল বলেন- গাছের ক্ষতি যারা করেছে তাদের প্রতি নিন্দা জানাই। ড. নিত্য ঘোষ বলেন- বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির কালে বৃক্ষরোপণ অতিজরুরি। অপ্রয়োজনে গাছ কাটা অন্যায়। কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, দেশের কোথাও অপ্রয়োজনে গাছ কাটা উচিত নয়। খাইরুল ইসলাম পলাশ বলেন- বেরাবিতে চারশতাধিক প্রজাতির সাঁয়ত্রিশ হাজার গাছের মধ্যে এই গাছটির সাথে আমাদের সম্পর্ক গভীরের। প্রতিদিন যখন ক্যাম্পাসে আসি এ গাছটি দেখি। গাছের যারা ক্ষতি করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
কর্মসূচি গ্রহণকারী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলো- রণন, রিভারাইন পিপল, গ্রিন ইকো, গ্রীন ভয়েস, বিআরইউডিএফ, গুনগুনের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন


Link copied