স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ সুমি আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার(৩০ মে) ভোরে নীলফামারী কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পুটিমারি ইউনিয়নের ধাইজান কিশামত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার আতিকুল ইসলামের স্ত্রী ও এক ছেলে সন্তানের জননী।
নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, স্বামীর পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় সুমি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। এলাকাবাসী কারন জানতে চাইলে স্বামী সহ পরিবারের লোকজন নিহত গৃহবধুর ১৩ মাস বয়সের সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠায়।
নিহতের মা শবিতন বেগম বলেন, রাত ২টার দিকে আমার মেয়ে জামাই আমাকে ফোন করে জানায় আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। এখবর শুনে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বাড়ির স্বজনদের নিয়ে এখানে এসে দেখি আমার মেয়ের মরদেহ বিছানায় পরে রয়েছে। মেয়ে জামাইকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে ভোরে দিকে আপনার মেয়ে বিষ খেয়ে সে আত্মহত্যা করে। পরে মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তাদের জিজ্ঞেস করলে তা না জানিয়ে আপনি আপনার মেয়ের মরদেহ নিয়ে যান বলে তারা সবাই ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাহিরে এসে দেখি আমার মেয়ের ১৩ মাস বয়সী সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের মা বলেন, আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে আমি এর বিচাই চাই।
এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলতে তারা জানায়, আতিকুল ইসলাম পরকীয়া লিপ্ত ছিল ও দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাচ্ছিল। যার কারণে তাদের মধ্যে প্রায়ই সময় ঝগড়া লেগে থাকতো।
কিশোরীগঞ্জ থানা ওসি পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় মামলা হয়েছে। পরিবারের লোকজনের সন্ধ্যান চলছে।