ডেস্ক: হৃদ্যন্ত্রের অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। এতে দেখা গেছে, তিনি ‘মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক’ করেছেন। খালেদা জিয়ার হৃদ্যন্ত্রের মেইন আর্টারিতে ৯৯ শতাংশ ব্লক ধরা পড়েছে। রিং পরানো হয়েছে।
তার চিকিৎসায় গঠিত ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আবারও তাকে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ উন্নত দেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
এর আগে, করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির পর শনিবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠকে বসে বেগম জিয়ার জন্য গঠিত ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে বেগম জিয়ার হৃদ্যন্ত্রের জটিলতার জন্য এনজিওগ্রামসহ বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কথা বলা হয়। এরপরই ‘মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক’ এবং ৯৯ শতাংশ ব্লক ধরা পড়ে।

এদিকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে উদাসীন। খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকেই দায় নিতে হবে। এ সময় ফখরুল আবারও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। গত ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। এর আগে চিকিৎসকরা বেগম জিয়ার 'পরিপাকতন্ত্রে' রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বেগম খালেদা জিয়া। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়া হয় তাকে। এরপর থেকে গুলশানের বাসায় থাকছেন ৭৬ বয়সী বেগম খালেদা জিয়া।