আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৫ মার্চ ২০২৫ ● ১১ চৈত্র ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৫ মার্চ ২০২৫

গাইবান্ধা থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত ২২৬ কি:মি: পায়ে হেটে বাবা-ছেলে

শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২, রাত ০৮:৫৪

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত বাবাকে উৎসাহ দিতে বাবার সফর সঙ্গী হিসেবে ৩৮ তম মিশনে গাইবান্ধা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অনারারি) সাদেক আলী (৬৫) ও ছেলে ব্যাবসায়ী ছেলে মোস্তাফিজুর (৩২)।

গত ৭ মার্চ গাইবান্ধার সাদেক চত্বর থেকে শুরু হাওয়া এই সফর শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধায় শেষ হয়েছে।

জানা যায়, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অনারারি) সাদেক আলী (৬৫) দীর্ঘ সময় চাকুরি শেষে বাকি সময়টাকে দেশটাকে খুব কাছ থেকে দেখা আর পায়ে হাটার পাশাপাশি শারীরিক ভাবে উপকারিতা পেতে এবং একই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ৩২ বছর বয়সী ব্যাবসায়ী ছেলে মোস্তাফিজুরকে সফর সঙ্গী হিসেবে নিয়ে পায়ে হেটে গাইবান্ধা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছেন ২২৬ কিলোমিটার পথ। তাদের লক্ষে পৌছুতে পারায় দারুণ উচ্ছাসিত এই বাবা-ছেলে।

গত ৭ মার্চ বাংলাবান্ধা অভিমুখে বের হয়ে বাবা-ছেলে এক সাথে ৫ দিন ধরে ২২৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখন দেশের বাইরে যাবার পরিকল্পনা করছেন।

ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা বাবা-ছেলে মিলে একটি মহৎ ভিশন সেট করি। যার লক্ষে আমরা এখন ছুটে চলেছি। এই লক্ষে ছুটতে গিয়ে আমরা বর্তমান ৩৮তম মিশনের ৫ম দিনে অবস্থান করছি বাংলাবান্ধায়। মূলত বাবা শরীর ঠিক রাখতে বাবার সাথে এই পথ চলা শুরু করেছি। সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বাবা- ছেলের সম্পর্ক যদি বন্ধুসুরপ না হয় তাহলে এক সাথে কখনো হাজার হাজার পথ পাড়ি দেয়া যাবে না। আমি মিশনের মাধ্যমে যুব সমাজকে বলতে চাই তারা যেন বাবা- মায়ের সাথে ভালো আচরণ করে এবং বন্ধু হিসেবে পাশে থাকে। 

বাবা সাদেক আলী জানান, আমরা বাবা-ছেলে গত ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ থেকে একটি বিশেষ উদ্যোগ সামনে রেখে আমরা মিশন শুরু করি। এই মিশনগুলো একের পর এক আমরা পরিচালনা করে আমরা ৩৭তম মিশনে পৌছাই। আর এই ৩৭তম মিশনে আমরা ১১শত ৩৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করি। গত ৭ তারিখ থেকে ৩৮তম মিশন শুরু করে আজ বাংলাবান্ধায় পায়ে হেটে পৌছাতে সক্ষম হই।

মন্তব্য করুন


Link copied