স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ স্ত্রীর মরদেহ পড়েছিল বিছানায়। আর স্বামীর মরদেহ ঝুলছিল ঘরের বাঁশের আড়ায়। ঠিক এভাবেই বুধবার(১ নবেম্বর) রাত ৭টায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা কৈমারী দোলাপাড়া গ্রামের শয়নকক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(২ নবেম্বর) জেলার মর্গে স্বামী স্ত্রীর মরদেহ ময়না তদন্ত করা হয়।
নিহতরা হলেন, বিপুল চন্দ্র রায় (২৭) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি রানী (২০)। বিপুল পেশায় কায়িক শ্রমিক ও ওই গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র রায়ের ছেলে। বৃস্টি রানী এ জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা মেলাগঞ্জ গ্রামের বিকাশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে। গত ৭ মাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়।
গ্রামবাসীরা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মান অভিমান চলছিল। এ অবস্থায় বুধবার দুপুরে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় তারা। দিন শেষে সন্ধ্যা নামলেও তাদের ঘর থেকে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পায় বিপুল ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে ও বৃষ্টি রানী বিছানায় পড়ে আছে। পরে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ধারনা করা হচ্ছে বিপুল হয়তো স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজেও আতœহত্যা করে।
জলঢাকা থানার ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, একই ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যে ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল সেটি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা ছিল। দরজা ভেঙ্গে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনাটি জানা যাবে।