আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ● ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত       বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নীলফামারীতে দুই বোন-ভাই নিহত       বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্প বাতিল ও মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নীলফামারীতে কৃষকদের মানববন্ধন       নিত্যপণ্যের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলফামারীতে ক্যাবের মানববন্ধন       ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় লাগে মাহির      

 

ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের রাজপ্রাসাদ !

শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর ০৪:৩১

নিউজ ডেস্ক: চারতলা বিশিষ্ট ডুপ্লেক্স বাড়ি। সারি সারি আম-কাঁঠাল ও লিচুর বাগান। সঙ্গে গরু-ছাগল আর ভেড়ার খামার৷ পাশেই দুই তলা বিশিষ্ট দুটি বাড়ি। নিচে রাখা হয়েছে গাড়ি আর চারপাশে ধান ও সবজি ক্ষেতে সবুজের সমাহার৷ দৃষ্টি কাড়ানো এই রাজপ্রাসাদ ও খামার বাড়িটির মালিক নোয়াখালীর সন্তান পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ওবায়দুল হক৷ 

জানা যায়, ১০ বছর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে ২২ বিঘা জমি কেনেন ওবায়দুল হক৷ সেখানে গড়ে তুলেন ডুপ্লেক্স বাড়ি ও গবাদি পশুর খামার। খামারে ধান-সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করেন তিনি৷ পরে একই গ্রামের বারঢালি, কালমেঘ ও উপজেলার পাড়িয়া গ্রামে আরো ২০ বিঘা জমি কেনেন তিনি৷ বাড়ির নিচে অরক্ষিত রাখা গাড়িটির মালিকানা সরকারি।

মাঝেমধ্যে এই খামারবাড়িতে আসতেন এই কর্মকর্তা। স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা হলেই জিজ্ঞেস করতেন জমি বিক্রি করলে কেনার কথা৷ বিভিন্ন স্থানে এরকম আরো ১৭টি খামারবাড়ির গল্পও শোনাতেন তাদের। মূল ফটকের পাশে করেছিলেন বিদেশি কুকুর রাখার ঘর। পুলিশের দাপট আর কুকুরের ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি পড়শিরা৷ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এত সম্পদের আয় নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন তারা৷ 

স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, বাইরের কেউ ভিতরে যেতে পারতনা৷ গেটের সঙ্গে যে রুম সেখানে বিদেশি কুকুর রাখা হয়েছিল৷ চারতলা বাড়ি, বাগান, গরু- ছাগল আর ভেড়ার খামার আছে৷ এটা এলাকার মধ্যে পুরো মিনি রাজপ্রাসাদ বানিয়েছেন তিনি৷ একজন পুলিশের এত টাকার আয়ের উৎস কোথা থেকে এটা জানা বেশ জরুরি। আমরা এলাকাবাসী এটির সঠিক তদন্ত চাই৷ 

আরেক বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, আমি উনাকে চাকরির কথা জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন আমি পুলিশে চাকরি করি। দেখা হলেই বলতেন আশেপাশে কোনো জমি আছে নাকি৷ যত দাম হোক তিনি জমি কিনে নিতেন৷ একজন পুলিশের কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে এত টাকা তিনি আয় করেন৷ আর পুরো রাজপ্রাসাদ করে ফেলেছে ভিতরে৷ মাঝেমধ্যে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এখানে আসতেন তিনি৷ 

তিনি আরো বলেন, মাসিক বেতনে চারজন ও নিয়মিত ৫-৮ জন শ্রমিক কাজ করেন এই খামারবাড়িতে। বেতনসহ বাড়িটির তত্বাবধানে রয়েছেন ম্যানেজার লিটন আহমেদ৷ মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে থাকেন তিনি৷ আগে প্রায় সময়ে আসলে এখন আর আসেন না তিনি৷ 

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ওবায়দুলের খামারবাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল লতিফ বলেন, আমি শুরুর দিকে এখানে চাকরি করতাম৷ তারপর বাদ দিয়ে আবার তিন মাস ধরে এখানে কাজ করছি। এটার মালিক ট্রাফিক পুলিশে চাকরি করে ওবায়দুল সাহেব৷ আমরা বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করলে বলে আমার বাড়ি ঢাকা। 

তিনি আরো বলেন, আমিসহ আরো তিনজন এখানে আছি৷ আমাদের মাসিক বেতনে রাখা হয়েছে। এসবের নিয়ন্ত্রণ করেন লিটন সাহেব নামে এক ম্যানেজার৷ মালিক দুই বছর আগে এসেছিলেন। এরপর আর আসেননি৷ 

মন্তব্য করুন


 

Link copied