আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

তিস্তার চরে জনসংখ্যা অনুপাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে : আসিফ মাহমুদ

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ০৮:২৩

Advertisement Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক:  স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, তিস্তার চরে শিক্ষার হার কম, সেখানে স্কুল নেই। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চরে জনসংখ্যা অনুপাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। 

আজ রবিবার বিকেলে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা রেলব্রিজ প্রাঙ্গণে 'তিস্তা বিষয়ক করণীয়' শীর্ষক গণশুনানিতে বিশেষ অতিধির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। 

আসিফ মাহমুদ বলেন, তিস্তা নদী বেষ্টিত উত্তরের পাঁচ জেলা কৃষি উৎপাদনে উদ্বৃত্ত। কিন্তু অবকাঠামোগত স্বল্পতার কারণে তারা ফসলের ন্যায্য দাম পায় না। হিমাগার নেই, উৎপাদন ও পণ্য বিবেচনায় চরাঞ্চলে হিমাগার স্থাপন করা হবে। এ নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য হল কৃষকরা যেন তাদের ফসলের সঠিক মূল্য পায়।

তিনি আরও বলেন, উত্তরের যেসব এলাকায় শিক্ষার হার কম, সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আধুনিক ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি করে দেয়া হবে। সেইসঙ্গে যে-সব এলাকা বিগত সময়ে অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সেখানে বৈষম্য অনুপাতে যেন বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের কৃষি উন্নয়নে কৃষিজ শিল্পের বিকাশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে উত্তরের চিনিকলগুলো চালু করা হচ্ছে।

এই উপদেষ্টা বলেন, ২০১১ সাল থেকে তিস্তা মহাপরিকল্পনার একটি খসড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেছিল ভারতে যা দিয়েছি তা আজীবন মনে রাখবে। আওয়ামী সরকার ভারতে গিয়ে তাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে শুধু ছবি তুলেছে, তিস্তার নিয়ে কোন কথা বলার সাহস পায়নি। তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাথা উঁচু করে কথা বলছে। প্রয়োজনে পানি আইনের ভিত্তিতে কুটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করা হবে।

রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে গণশুনানীতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম তারিকুল আলম, তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী প্রমুখ।

গণশুনানীতে তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, বেশি ভাঙন প্রবণ ২১ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণ, ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, তিস্তার চরে স্কুল ও ক্লিনিক নির্মাণ, বেকারত্ব দূরীকরণে প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, নদী ভাঙ্গনে চলে যাওয়া জমির মালিকানা অটুট রাখা, পরিবেশ ঠিক রেখে কৃষি ভিত্তি কলকারখানা তৈরি এবং চলতি বছরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কাজ শুরু করার দাবি জানানো হয়।

গণ শুনানিতে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তাপাড়ের কয়েক হাজার নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ অংশ নেন। 

মন্তব্য করুন


Link copied