আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ১২০০ ছাড়াল

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, দুপুর ০৪:৫২

ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ। খবর বিবিসির

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৯১২ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ফলে নিহতে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

১৯৩৯ সালের পর এটিই দেশটিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, ভূমিকম্পে ২ হাজার ৮১৮টি ভবন ধসে পড়েছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাতে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে ৩১২ জনের বেশি নিহত এবং ১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্প। অঞ্চলটি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্কের সাতটি প্রদেশের অন্তত দশটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরগুলো হলো গাজিয়ান্তেপ, কাহরামানমারাস, হাতে, ওসমানিয়া, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। এছাড়া সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাকাতিয়া শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভূমিকম্পে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়। এর প্রায় ১১ মিনিট পর আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি এলাকায়। এ দফায় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। দ্বিতীয় দফায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে।

সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ান্তেপ তুরস্কের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা। এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, তুরস্ক ও সিরিয়া ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসেও এর ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে। এমনকি মিসরের রাজধানী কায়রোতেও এর তীব্রতা টের পাওয়া গেছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied