আর্কাইভ  সোমবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ● ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আর্কাইভ   সোমবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত       বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নীলফামারীতে দুই বোন-ভাই নিহত       বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্প বাতিল ও মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নীলফামারীতে কৃষকদের মানববন্ধন       নিত্যপণ্যের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলফামারীতে ক্যাবের মানববন্ধন       ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় লাগে মাহির      

 

দেশেই আছেন ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিরা, আশ্রয় নেন ‘আনসার হাউসে’

শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩, দুপুর ০৩:৪৯

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে যে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তারা দেশেই অবস্থান করছেন। আদালত থেকে তারা সদরঘাট হয়ে পালিয়ে গিয়ে ‘আনসার হাউসে’ অবস্থান নেন। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শনিবার দুপুরে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসির) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি জানান, শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল সমন্বয়ক ফাতিয়া তাসনিম শিখা (৩১) ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার হুসনাকে (২২) গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি। এদের মধ্যে ফাতিয়া তাসনিম শিখা পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী।

আসাদুজ্জামান বলেন, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪) ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে (৩৪) ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আনসার আল ইসলামের নেতৃত্ব পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১০-১২ জন সদস্য এ জঙ্গি ছিনতাইয়ে অংশ নেয়। চার জঙ্গিকেই ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তারা দুজনকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিসহ একটি গ্রুপ চলে যায় সদরঘাটে। সেখান থেকে তারা একটি ‘আনসার হাউসে’ গিয়ে অবস্থান নেয়। আনসার আল ইসলামের সেফ হাউসকে সাংগঠনিক ভাষায় আনসার হাউস বলা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ছিনতাইয়ের ছয় মাস আগে তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুয়া এনআইডি ও ভুয়া পরিচয়ে একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। নেতৃত্বপর্যায়ে নির্দেশে সংগঠনের আশ কারি বিভাগের প্রধান আয়মানের নেতৃত্বে তারা সেখানে মিটিং করে। শিখা ময়মনসিংহ থেকে এসে বৈঠকে অংশ নিতেন।

বৈঠকের সব সিদ্ধান্ত জেলখানায় থাকা জঙ্গি সোহেলকে দিতেন শিখা। স্ত্রী পরিচয়ে দেখা করার সুযোগেই তিনি সংগঠনের তথ্য ও তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা জানাতেন।

ঘটনার আগে গত বছরের ১ নভেম্বর শিখা, আয়মানসহ ছিনতাই অপারেশনে অংশ নেওয়া প্রত্যেকে আদালত প্রাঙ্গণে এসে পুরো এলাকা রেকি করেন। তারা কোন পথে পালাবেন, ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হলে কী করবেন সেসব পুরো এলাকা রেকি করে নির্ধারণ করেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied