আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৯ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৯ অক্টোবর ২০২৫
একদিনের ব্যবধানে ৬৯০৬ টাকা বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস

একদিনের ব্যবধানে ৬৯০৬ টাকা বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস

ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম তৈরিতে লাইভ টিভি ও নেক্সট টিভিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা

ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম তৈরিতে লাইভ টিভি ও নেক্সট টিভিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা

বিএনপি নেতা আনিসুরের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

বিএনপি নেতা আনিসুরের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

রোববার ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

রোববার ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

নারী সমন্বয়কদের নিয়ে অপতথ্যের জাল, শীর্ষে ফারজানা সিঁথি

বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, বিকাল ০৬:৫৯

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে গড়ে ওঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেন নারী শিক্ষার্থীরাও। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কেউ রাজপথে নেমে বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন, কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে জুলাই আন্দোলন বেগবান করেন। অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সরাসরি সমন্বয়ক, অনেকের পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট।

জুলাই আন্দোলনের পর চলতি বছরও সাইবার অপরাধীদের টার্গেটে নারী সমন্বয়ক ও অ্যাক্টিভিস্টরা। তাদের ঘিরে বিভিন্ন অপতথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যার অধিকাংশই হয়রানিমূলক।

তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত আটজন নারী সমন্বয়ক ও অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে ৩২টি অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে।

রিউমার স্ক্যানারের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, জুলাই আন্দোলনে ব্যাপক আলোচিত ফারজানা সিঁথিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ১৫টি ভুয়া ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি ছাড়া বাকিগুলো ছিল এআই এবং ডিপফেক পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি ভিডিও ফুটেজ।

সিঁথির পর সবচেয়ে বেশি অপতথ্যের শিকার সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। তাকে জড়িয়ে সাতটি অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে। আর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জুলাই আন্দোলনকারী নাফসিন মেহনাজকে জড়িয়ে পাঁচটি অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। যার মধ্যে তিনটিতেই ছিল নাফসিনের আপত্তিকর দৃশ্যের দাবি।

এর বাইরে সামিয়া মাসুদ মম, তিলোত্তমা ইতি, সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি, এথিনা তাবাসসুম মীম ও আনিকা তাসনিমকে জড়িয়ে একটি করে অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার।

এসবের বাইরেও এ বছর ভুয়া নাম ব্যবহার করে সমন্বয়ক ও জুলাইযোদ্ধা পরিচয়ের মাধ্যমে ভিন্ন নারীর ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে অপপ্রচার দেখা গেছে হরহামেশাই। এমন ১৬টি ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে।

এসব ঘটনা ছড়ানো ছবি-ভিডিওর সাতটিই ছিল ভারতের, তিনটি ছিল ভিন্ন আরও তিন দেশের। বাকিগুলো বাংলাদেশেরই। তবে পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার। অথচ তাদের কেউই সমন্বয়ক নন, এমনকি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তও নন।

রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীরা কীভাবে সমন্বিত রাজনৈতিক অপপ্রচারের বলি হন তারও উদাহরণ দেখা গেছে এ বছরই। গত এপ্রিলে একদিনেই রুবাইয়া ইয়াসমিন নাম দিয়ে এক নারীকে কেন্দ্র করে তাকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে অন্তত পাঁচটি কনটেন্ট ভাইরাল হয়। এসব কনটেন্টের অন্তত একটি ছিল আপত্তিকর।

এ নারীকে সেসময় এনসিপির নেত্রী হিসেবেও প্রচার করে দেশে বর্তমানে সক্রিয় থাকা অন্য প্রায় সব দলের কর্মী-সমর্থকরা। এমন সমন্বিত অপতথ্যের প্রচার বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরলই বলতে হয়।

রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধানে জানতে পারে, এ নারীর নাম রুবাইয়া ইয়াসমিন নয় এবং এ নামে কোনো সমন্বয়কও নেই। যুথী নামের এ নারী কোনো রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত নন।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন রিউমর স্ক্যানারকে বলেছেন, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে যারা কাজ করেন, তাদের জন্য এগুলো খুবই সমস্যা হয়। কারণ, গুজবগুলো ওই পর্যায়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশ্বাস করে ফেলে। সেক্ষেত্রে তার সামাজিক বা পারিবারিক প্রভাব ভয়ানক পরিমাণে হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয় যে, আমাদের আক্রমণ করলে বা আমরাই যদি এটির এত শিকার হই, তাহলে বাকি নারীরা এ পথে আসার আশা-ভরসা পাবেন না। এটি একটি কৌশলের জায়গা থেকে করা হয়।

মন্তব্য করুন


Link copied