আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩ ● ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: আদানির কেন্দ্র থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু       নীলফামারীতে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম রাজস্ব খাতে নিতে স্বারকলিপি প্রদান       নীলফামারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন       নীলফামারীতে শিশু শ্রম নিরসন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত       নীলফামারী র‌্যাব-১৩ অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার      

নীলফামারীতে আন্তঃজেলার ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩, বিকাল ০৬:২৪

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ছয়দিনের মধ্যে আন্তঃজেলা তিনজন কুখ্যাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার(৯ মে) দুপুরে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম। 
গ্রেপ্তারকৃত তিন ডাকাত হলো, জেলা সদরের চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা জেলেপাড়ার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে অনিল চন্দ্র দাস(২৯), ডোমার উপজেলার সদরের ছোট রাউতা জেলেপাড়া গ্রামের মৃত কালী দাসের ছেলে রঙ্গিয়া দাস(৫০) ও সৈয়দপুর উপজেলার লক্ষ্মনপুর সরকারপাড়া গ্রামের কাজিমুদ্দিনের ছেলে নজু মাহমুদ ওরফে নজরুল(২৭)। 
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল রাতে জেলার ডোমার উপজেলার ছোটরাউতা ব্রাক্ষ্মনপাড়া গ্রামের পুরহিত বিজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে দরজা ভেঙ্গে ৮/১০ জনের মুখোশধারী ডাকাতরা প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতদল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, দুই ভরি ২ আনা স্বর্ণালঙ্কার, ৪ ভরি রূপার অলংকার, কাসার থালা গ্লাস বাটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপর খবর পেয়ে পুলিশ সুপার সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরপর পুলিশের একাধিক দল ডাকাত চিহিৃত করণ সহ তাদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। পুলিশ সুপার জানান, মামলার ৬ দিনের মাথায় তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে ডাকাতির ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ও সিম এবং কাঁসার থালা বাটি গ্লাস উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ডাকাতদের মধ্যে ২ জন আদালতের মাধ্যমে তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছে। এরমধ্যে ডাকাত অনিল চন্দ্র আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবাববন্দী দিয়েছে। তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের পরিচয় ও ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাদেরকেও ধরতে এখন পুলিশের ৫টি টিম কাজ করছে। 
সুত্র মতে, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের মধ্যে অনিলচন্দ্রের নামে ২০১৮ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর থানায়, নীলফামারী সদর থানায়, রংপুর কোতয়ালী থানায় ও সৈয়দপুর থানায় পৃথক একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। যা আদালতে বিচারাধীন। এছাড়া আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অধিকাংশই জেলে সম্প্রদায়ের বিপদগামী সদস্য বলে জানা গিয়েছে। 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আমিরুল ইসলাম, ডোমার সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আলী মহম্মদ আব্দুল্লাহ, ডোমার থানার ওসি মাহামুদ উন নবী সহ প্রমুখ। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied