স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ জেলার জলঢাকা ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় পুলিশ তিন লাশ উদ্ধার করে।
সোমবার(২ অক্টোবর) পুলিশ সুত্র জানায়, জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের দেওনাই নদীর ধারে বালুচাপা অবস্থায় অজ্ঞাত নামা (৩৫) এক যুবকের লাশ গত রবিবার রাত ৮টায় উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে তাকে দুস্কৃতিরা হত্যার পর নদীর ধারে বালুচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। লাশের পরিচয় ও খুনীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জলঢাকা থানার ওসি মুক্তারুল আলম।
অপর দিকে সুপারিগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের নেতরার বাজার এলাকার হরিশ চন্দ্রের ছেলে সুধির চন্দ্র রায়কে (৬২) গত রবিবার রাত ৮টার দিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, রবিবার(১ অক্টোবর) সকালে সুধির চন্দ্র রায়ের ছেলে শৈলেন্দ্র নাথ রায়ের জমির পাঁচটি সুপারির গাছ কেঁটে সেই স্থানে গর্ত করে একই গ্রামের তেলেঙ্গা রায়(৫৫) ও তার স্ত্রী মিনতি (৫০), তাদের ছেলে সুমন চন্দ্র রায়(২০), কমল চন্দ্র রায়(২৮) অমল চন্দ্র রায়(৩৩) ও স্বাধীন চন্দ্র রায়(২১)। এতে শৈলেন্দ্র নাথের বাবা সুধির চন্দ্র রায় বাঁধা দেয়। ওই ঘটনার পর সুধির চন্দ্র নেতরার বাজারে এলে রবিবার রাত ৮টার দিকে সুমন চন্দ্র সহ তার লোকজন কিলঘুষি মারে। একপর্যায়ে সুধির মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। লোকজন তাকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার সকালে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করে নিহতের ছেলে শৈলেন্দ্র নাথ রায়। মামলার পর পুলিশ দুপুরে তেলেঙ্গা রায় ও তার স্ত্রী মিনতি রায়কে গ্রেফতার করেছে।
অপর দিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকার ফজলুর রহমানের অষ্টম শ্রেণির পড়–য়া মেয়ে ফিরোজা আক্তার সোমবার সকাল ১১টায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি রাজীব কুমার রায় জানান, দুই বোনের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার কারণে বড় বোন ফিরোজা বেগম অভিমান করে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।