আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

নীলফামারীতে প্রসূতির মৃত্যু, চিকিৎসক সহ তিনজন গ্রেপ্তার

রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, বিকাল ০৭:১৫

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ সিজার করতে গিয়ে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার শহরে জনতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেবি আক্তার (২৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে নবজাতক পুত্র সন্তানটি বেঁচে আছে। এই ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী মামলা করায় পুলিশ এক চিকিৎসকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লিনিকটি সিলগালা করে দিয়েছে। 
জানা যায়, উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা দরগাঁপাড়া এলাকার নুর আলমের স্ত্রী বেবি আক্তারকে গত শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে প্রসব বেদনা নিয়ে জনতা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানা ইয়াসমিন দ্রুত সিজারের পরামর্শ দেয়। ওইদিন সন্ধ্যা সিজারের মাধ্যমে একটি নবজাতক পুত্র সন্তান হয়। 
অভিযোগ মতে, সিজারের পর রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকলেও অপারেশনের সময় উপস্থিত ডা. রিজওয়ানা ইয়াসমিন, ডা. নিহার রঞ্জন এবং ওটি সহকারী বিপুল সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এতে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রাত ১১টার দিকে প্রসূতিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। যেখানে রবিবার(১৫ জুন) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত রোগীর স্বজনরা রংপুর থেকে মরদেহ সহ ডোমারের ক্লিনিকে এসে ঘেরাও করে চিকিৎসকদের বিচার দাবি করেন। খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীও সেখানে এসে চিকিৎসকদের বিচারের দাবি জানায়। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শায়লা সাঈদ তন্বী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী ঘটনাস্থল এসে উক্ত ক্লিনিককে সিলগালা করেন। এই ঘটনায় পুলিশ উক্ত ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব, সেবিকা সুমনা আক্তার ও সাবিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। নিহত বেবি আক্তারের স্বামী নুর আলম এ ঘটনায় ডোমার থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারীকে।
ডাঃ রায়হান বারী জানান, তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর চিকিৎসক ও ক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 
ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়লা সাঈদ তন্বী  জানান, প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত পাওয়ায় জনতা ক্লিনিককে সিলগালা করা হয়েছে। 
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর ইসলাম জানান, নিহতের স্বামী এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে চিকিৎসক সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

মন্তব্য করুন


Link copied