স্টাফ রির্পোটার,নীলফামারী॥ নীলফামারীতে সোমবার(১৭ এপ্রিল) তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন তাপমাত্রার দাপটে অস্বস্তি নেমে আসে জনজীবনে। প্রকৃতির এমন বিরুপ প্রভাবে হিটস্ট্রোকে এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকাল চারটার দিকে জেলা শহরের আনসার ক্যাম্পের সামনের সড়কের ধারে বন্ধ থাকা একটি চায়ের দোকানের সামনে হিটস্টোক করে সনাতন রায় (৩৫) নামে এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে। তিনি শহরের মানিকের মোড় এলাকায় নাসির বিড়ি কোম্পানী সংলগ্ন ইটাখোলা গ্রামের মৃত ভবানী প্রসাদ রায়ের ছেলে এবং পেশায় মুড়ি ব্যবসায়ী ছিলেন। এসময় মৃত ব্যক্তির পাশে পড়ে থাকা তার ব্যবহৃত একটি বাইসাইকেল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। বিরুপ আবহাওয়ায় হিটস্ট্রকে আক্রান্ত হয়ে সনাতন রায়ের মৃত্যু হওয়ার ধারণা করছে পুলিশ।
সনাতনের স্ত্রী সুচিত্রা রাণী রায় (৩২) বলেন, আমার স্বামীর কোন রোগবালাই নাই। শহরের নতুনবাজারে মুড়ির দোকান করেন। সোমবার সকাল ১১টার দিকে দোকানের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। দুপুর একটার দিকে তার মোবাইল থেকে কল আসে, কিন্তু কিছু শোনা যাচ্ছিল না। এরপর থেকে ফোনে তাকে পাইনি, বিকালে মৃত্যুর খবর পাই। স্ত্রী সুচিত্রা বলেন, আমার ধারণা দুপুরে প্রখর রোদে বাড়ি ফেরার সময় পথের ওই স্থানে এসে তার মৃত্যু হয়েছে।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুক্তারুল আলম বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ সকাল থেকে প্রখর রোদ ও তাপদাহ ছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে হিটস্ট্রোকে মুড়ি ব্যবসায়ী সনাতনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। কোন অভিযোগ না থাকলে ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে জেলার সৈয়দপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, সোমবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছে। গত রবিবার ৩৬, শনিবার ৩৫ এবং শুক্রবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকড করা হয়। জেলায় এ অবস্থা চলবে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়ে জেলায় বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই।