আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ১১ পৌষ ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
কে এই মার্টিন লুথার কিং?

কে এই মার্টিন লুথার কিং?

তরুণ প্রজন্মকেই আগামীর নেতৃত্ব নিতে হবে : তারেক রহমান

তরুণ প্রজন্মকেই আগামীর নেতৃত্ব নিতে হবে : তারেক রহমান

আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান ফর মাই কান্ট্রি: তারেক রহমান

আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান ফর মাই কান্ট্রি: তারেক রহমান

জনগণের দোয়ায় প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি: তারেক রহমান

জনগণের দোয়ায় প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি: তারেক রহমান

কে এই মার্টিন লুথার কিং?

বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকাল ০৫:০৪

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিশ্ববিখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের একটি বিখ্যাত উক্তি ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’-এর কথা উল্লেখ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ১৭ বছর পর নিজ দেশের মাটিতে পা রেখে তারেক রহমান জানিয়েছেন, মার্টিন লুথার কিংয়ের যেমন স্বপ্ন ছিল, তারও বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি পরিকল্পনা রয়েছে।

একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই : তারেক রহমান

এই বক্তব্যের পর থেকেই জনমনে কৌতূহল জেগেছে— কে এই মার্টিন লুথার কিং?

শান্তি ও অধিকার আদায়ের এক কিংবদন্তি মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আমেরিকান ব্যাপটিস্ট ধর্মযাজক এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের প্রধান নেতা। ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার এক পাদরি পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে যখন বর্ণবৈষম্য চরম পর্যায়ে ছিল এবং কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর দমন-পীড়ন চলত, তখন তিনি অধিকারহীন মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

১৯৬৩ সালের ২৮ আগস্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে এক বিশাল সমাবেশে তিনি তার ঐতিহাসিক ভাষণটি দেন। সেই ভাষণের মূলমন্ত্র ছিল ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’। 

সেখানে তিনি বলেছিলেন, আমার একটি স্বপ্ন আছে যে, একদিন এই জাতি জেগে উঠবে এবং মানুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করবে। আমার স্বপ্ন আছে যে, আমার চার সন্তান একদিন এমন এক দেশে বাস করবে যেখানে তাদের গায়ের রঙ দিয়ে নয়, বরং তাদের চরিত্রের গুণাবলি দিয়ে বিচার করা হবে।

এই একটি ভাষণ পুরো পৃথিবীর মানুষের মুক্তিকামী চেতনাকে নাড়া দিয়েছিল।

অহিংস আন্দোলন ও নোবেল জয় মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত মার্টিন লুথার কিং বিশ্বাস করতেন অহিংস আন্দোলনে। তিনি কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়াই কৃষ্ণাঙ্গদের ভোটাধিকার এবং সামাজিক মর্যাদা আদায়ের লড়াই চালিয়ে গেছেন। এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৪ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সে সময় তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী।

হত্যাকাণ্ড ও উত্তরাধিকার দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মেমফিস শহরের একটি হোটেলের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তিনি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।

অপরদিকে মার্টিন লুথার কিংয়ের বিখ্যাত উক্তি ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ উল্লেখ করে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘ভাই-বোনেরা, মার্টিন লুথার কিংয়ের নাম শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো? মার্টিন লুথার কিং-এর একটি বিখ্যাত ডায়লগ আছে— ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সবার সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই— ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’ ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি (দেশের মানুষের জন্য, দেশের জন্য আমার একটি পরিকল্পনা আছে)। আজ এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, যদি সেই প্ল্যান, সেই কার্যক্রম, সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে হয়– প্রিয় ভাই-বোনেরা, এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন এবং সারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে যত মানুষ আছেন, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে। প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে। আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকেন, আপনারা যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করেন, ইনশাআল্লাহ আমরা ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।

মন্তব্য করুন


Link copied