স্টাফ রিপোর্টার(নীলফামারী)॥ নীলফামারীতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানী করার অভিযোগে এক পরিবারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলণ করেছে গ্রামবাসী। আজ রবিবার (৬ মার্চ) বিকালে জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর মুসরত কুখাপাড়ায় গ্রামবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মুসরত কুখাপাড়া যুব সমাজ উন্নয়ন সংগঠন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা আলহাজ¦ কাওসার আলী। এসময় সংগঠনের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য আল-ইমরান, মাজাহারুল ইসলাম, জামিয়ার রহমান বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলণে কাওসার আলী অভিযোগ করে বলেন, উত্তর মুসরত কুখাপাড়া গ্রামের মৃত. ছপদ্দি মামুদের ছেলে মো. হাদার আলী (৩৫) এলাকায় চিহ্নিত কুখ্যাত ডাকাত। সে ও তাঁর পরিবারের প্রতিটি সদস্য চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই,সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত।
হায়দারসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে নীলফামারীসহ আশপাশের জেলার থানায় ডাকাতি, চুরি,ছিনতাইয়ের ১৫ থেকে ২০টি মামলা রয়েছে। হায়দারের নেতৃত্বে তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখন এলাকায় চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি হায়দার নিজ বাড়িতে প্রতি রাতেই জুয়ার আসর বসিয়ে এলাকার যুব সমাজকে ধংশের প্রতি নিয়ে যাচ্ছে। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই করে অঢেল অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছে। সুদের ব্যবসা পরিচালনা করে এলাকার অনেক গরীব মানুষকে সর্বশান্ত করে রেখেছে।
ওই পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করলেই তাঁর বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রী, বোন এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে দিয়ে মানুষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, হায়দার ও তার পরিবারের কর্মাণ্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় প্রদিবাদ করায় স্কুল শিক্ষ জামিয়ার রহমানকে আসামী করে নিজের বোন বতিাকে দিয়ে ধর্ষন মামলা দায়ের করে হায়দার। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে সালিশ ডাকায় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফাকা কামালকে আসামী করে চার জনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন হায়দারের স্ত্রী চম্পা বেগম।
তিন মাস পূর্বে দাবিকৃত সুদের টাকা দিতে না পারায় এলাকার এক পরিবারকে মারধর করে হায়দার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সেটির প্রতিবাদ করায় যুব সমাজ উন্নয়ন সংগঠনের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাকসহ ৭ জনকে আসামী করে ধর্ষনের মামলা দায়ের করেন হায়দারের ছোট ভাই মিলনের স্ত্রী রুনা বেগম।
এ ছাড়াও হায়দার ফকিরগঞ্জ চকবেড়ার দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্র মোকতারুল ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম, দশম শ্রেণীর চাত্র জুয়েল ইসলামকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে চুরি,ডাকাতি ও ছিনতাই সম্পৃক্ত করেন। সম্প্রতি ওই তিন ছাত্র হায়দারের সঙ্গ ত্যাগ সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে চাওয়ায় ওই তিন ছাত্রকে মারধর করে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে তাদের প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে হায়দার।
সংবাদ সম্মেলণে যুব সমাজ উন্নয়ন সংগঠনের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক দাবি করে বলেন, হায়দার ও তার পরিবারের এমন অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। তাদের অত্যাচার থেকে পরিত্রান পেতে গ্রামবাসী গণস্বাক্ষর করে স্থানীয় প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করেছে।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে মো. হায়দার আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোথাও কোন মামলা নেই। আমি কখনও ডাকাতি, চুরি কিংবা কোন ধরনের সমাজ বিরোধী কাজের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এলাকার একটি মহল আমাকে ও আমার পরিবারকে হেয়পতিপন্ন করার উদ্যেশে এমন মিথ্যা অভিযোগ করছে।