স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী: নীলফামারীতে ছয় জঙ্গির নাম উল্লেখ করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেছে র্যাব-১৩। আজ রবিবার(৫ ডিসেম্বর/২০২১) সকালে মামলাটি হয় নীলফামারী থানায়। মামলায় বাদী হয়েছেন র্যাব-১৩ রংপুর এর উপ-সহকারী পরিচালক(ডিএডি) আব্দুল কাদের। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের পুটিহারী এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে রাজমিস্ত্রী শরিফুল ইসলাম শরিফ(৩৪)। বিকালে ৫ জঙ্গিকে আদালতে ওঠানো হলে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছে।
মামলায় অন্য আসামীরা হলেন, গতকাল শনিবার জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া জেলার সোনারায় ইউনিয়নের তেলিপাড়া উত্তর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার মৃত. মকবুল হোসেনের দুই ছেলে জাহিদুল ইসলাম(৩০) ও অহিদুল ইসলাম(২৮), সংগলশী ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার তছলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে সুজা(২৬), চড়াইখোলা ইউনিয়নের বন্দর চড়াইখোলা গ্রামের অজোউদ্দিনের ছেলে ওয়াহেদ আলী(২৮) ও সোনারায় ভবানীমোড় এলাকার রজব আলীর ছেলে ও তেলিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম নূর আমিন(৩৫)। তবে পলাতক রয়েছেন প্রধান আসামী শরিফুল ইসলাম।
র্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, জঙ্গি বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়ার পাঁচ জেএমবি সদস্যকে নীলফামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং আরো কারা জড়িত রয়েছেন তাদেরও বের করার কাজ শুরু হয়েছে।
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করে র্যাব। মামলা নং-০১। এতে অজ্ঞাত আরো ছয়জনকে আসামী হিসেবে রাখা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নীলফামারী সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী জানান, বিকালে আসামীদের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড প্রদানের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গতঃ গতকাল শনিবার সকালে সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া পুটিহারী এলাকায় শরিফুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করে র্যাবের বোম্ব ডিজপজাল ইউনিটের সদস্যরা।#