আর্কাইভ  বুধবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ২ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরসহ ৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

রংপুরসহ ৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

বেরোবির ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর ইরিনা বহিস্কার

জাল সনদে ১২ বছর চাকুরি !
বেরোবির ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর ইরিনা বহিস্কার

রংপুরের পীরগাছা স্টেশন এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রেনের পাঁচ বগি লাইনচ্যুত

১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার পদ্মরাগ
রংপুরের পীরগাছা স্টেশন এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রেনের পাঁচ বগি লাইনচ্যুত

ইসলামি দলগুলোর যুগপৎ কর্মসূচিতে রাখছে নজর

রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি
ইসলামি দলগুলোর যুগপৎ কর্মসূচিতে রাখছে নজর

পঞ্চগড়ে ধর্ষন মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট ২০২২, বিকাল ০৭:৩২

Advertisement

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে এক কিশোরীকে (১৩) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সাইদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালতের বিচারক। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক আসামী পলাতক রয়েছে। একই মামলায় অপর দুই আসামী জাহেদুল ইসলাম ও পারভিনা বেগম দম্পত্তির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) তারিকুল কবির এই আদেশ দেন।

জানা যায়, যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী সাইদুল ইসলাম চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার চড়বাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোটাগ্রামের মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে। সে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার এ/পি এ্যাকোয়া কোম্পানী মাঝিপাড়া শালবাহান এলাকায় রাজমিস্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মামলা থেকে খালাস দম্পত্তি মাঝিপাড়া ডাকবদলী এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে ভিকটিম কিশোরী তেঁতুলিয়ার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ডাকবদলী গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আজিজার রহমান আজু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী সাইদুল তেঁতুলিয়ায় কর্মরত অবস্থায় ওই কিশোরীকে বিভিন্ন ভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসতেন। গত ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে অপর দুই আসামীর সহায়তায় কিশোরীকে কুপরামর্শে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় প্রধান আসামী সাইদুল কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। ঘটনার পর কিশোরীকে বিবাহের কথা বলে তালবাহানা করে কালক্ষেপন শুরু করে। এর পর ভিকটিম ৭ মাসের অন্তসত্বা হয়ে পড়লে মেয়েটি পরিবারের সদস্যদের জানায়। পরিবারের লোকেরা সাইদুলের সাথে কথা বলতে গেলে সে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়া শুরু করে। এর পর স্থানীয় ভাবে কোন সমাধান না পেয়ে ১৩ সালে ২৪ আগস্ট ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় সাইদুলকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। এর পর প্রায় দীর্ঘ ৯ বছরের মাথায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সাইদুলকে যাবজীবন কারাদন্ড দেয়। এসময় অপর দুই আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন


Link copied