আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

এবারও এসএসসি পরীক্ষায় ডিমলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি

বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, রাত ১২:০০

ফাইল ছবি

Advertisement Advertisement

বিশেষ প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। গতবছর(২০২৪) প্রথমবার এসএসসি পরীক্ষায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের দুইজন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। কিন্তু পাস করেনি তারা। এবছরও প্রতিষ্ঠান থেকে ৪জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কিন্তু পাসের ফলাফল শূন্য। পর পর দুই বার পাসের ফলাফল শূন্য হওয়ায় সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা। 
বৃহস্পতিবার(১০ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলীর পাঠানো পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা যায়। সেখানে জানানো হয়, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে ১৩টি বিদ্যালয় থেকে কেউ পাস করেনি। এই ১৩ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৮ জন। এই বোর্ডে গত বছর (২০২৪) পাস না করার বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল চারটি। আর পরীক্ষার্থী ছিল ২৭ জন। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গতবার ২ জন ও এবার চারজন শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ পাস করেননি। 
এই স্কুল সর্ম্পকে জানা যায়, ফেল ছাড়া পাসের মুখ দেখেনি স্কুলটি। ২০২৪ সালে এই স্কুলটি থেকে প্রথম দুই শিক্ষার্থী অংশ নেয় এসএসসি পরীক্ষায়। এবার অংশ নেয় ৪ জন। পর পর দুই বার ফলাফল শুন্য। এই স্কুলে প্রধান শিক্ষক সহ ১২ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী রয়েছেন। বিদ্যালয়টি একাডেমিক স্বীকৃতি পায় ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে। তবে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত তা রহস্যেই থেকে গেছে। 
স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয়টি বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। মাঝে মধ্যে দুই-একজন শিক্ষক-কর্মচারী আসলেও শিক্ষার্থীর দেখা মেলে না। আর যে সকল শিক্ষক রয়েছেন তারা বিভিন্ন জন ভিন্ন পেশা নিয়ে ব্যস্ত। তারা স্কুলে সময় দিতে পারেন না। বাহিরের শিক্ষা নিয়ে পরীক্ষা দেয়ায়। তিনি আরও বলেন, পর পর দুই বছরে এই বিদ্যালয় থেকে কেউ পাস করতে না পারায় এতে ডিমলা এলাকার নাম খারাপ হচ্ছে। 
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হাবিব সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। পরবর্তীতে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

মন্তব্য করুন


Link copied