আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

পাথর মেরে ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার নেপথ্যে কী, জানাল পুলিশ

শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, বিকাল ০৬:৩৯

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় গত বুধবার পাথর মেরে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে হত্যার পেছনে চাঁদাবাজি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দিন।

আজ শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জসীম উদ্দিন।

জসীম উদ্দিন বলেন, রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্তে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পেছনে চাঁদাবাজির কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ওই এলাকায় ভাঙারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে একটি দ্বন্দ্ব চলছিল। ঘটনাস্থলে একটি ভাঙারি দোকান রয়েছে এবং সেটিকে কেন্দ্র করেই কারা সেখানে ব্যবসা করবে—তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তারা কিছু দিন একসঙ্গে ব্যবসা চালালেও পরবর্তীতে আর্থিক লেনদেন ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ভিডিও এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গ্রেপ্তাররা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), আলমগীর (২৮), মনির ওরফে ছোট মনির (২৫), টিটন গাজী (৩২) ও তারেক রহমান রবিন (২২)।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করছিলেন।

গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে নিহত সোহাগের মরদেহ বরগুনায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নানাবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মন্তব্য করুন


Link copied