বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের প্ল্যানিং কমিটির ভুল থাকলেও তা এখনো বাতিল করা হয়নি।
কমিটির ভুল ছিল বলে স্বীকারও করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী।
জানা যায়, বেরোবির জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে অর্ধেক প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য না ডেকেই নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সর্বমোট ১৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সংস্থাপন শাখায় আবেদন জমা পড়ার পর যাচাই বাচাইয়ের জন্য বিভাগে পাঠালে, বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি অন্তত ৭ টি আবেদন বাতিল করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে প্ল্যানিং কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিভাগের এক তৃতীয়াংশ শিক্ষক দিয়ে গঠন করার কথা থাকলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান মীর তামান্না ছিদ্দিকাকে অন্তভুক্ত করেন বর্তমান বিভাগীয় প্রধান কুন্তলা চৌধুরী। অভিযোগ রয়েছে পছন্দের প্রার্থীকে সুবিধা দিতে প্ল্যানিং কমিটির সদস্য তিনজন থাকলেও মীর তামান্না ছিদ্দিকাকে নিয়ম ভেঙ্গে অন্তভুক্ত করা হয়। আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট বিষয়ের না এই কারণ উল্লেখ করে অন্তত চারজন প্রার্থী এবং নম্বরপত্রের অনুলিপি ও আবেদন অপূর্ণাঙ্গ উল্লেখ করে বাকি তিনজনের আবেদন বাতিল করেন তারা।
পরীক্ষার জন্য ডাক না পেয়ে গত রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরিরে এসে হাজির হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নিয়োগে আবেদনকারী খন্দকার সুরাইয়া আক্তার। তিনি পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে দেখা করেন। পরে প্রশাসন থেকে তার এই সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হলে তিনি প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করেন। কিন্তু পরদিন সাত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে ১১ জন প্রার্থীকে নিয়েই নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নামে কোন বিভাগ না থাকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ঠ অনুষদভুক্ত অর্থাৎ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত যে কোন বিভাগ থেকেই আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও এ বিভাগের বেশিরভাগ শিক্ষকই ডেভোলপম্যান্ট স্টাডিজ, লোকপ্রশান, শান্তি ও সংঘর্ষ, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ থেকে নিয়োগ পাওয়া। কিন্তু এবারের নিয়োগ বোর্ডে এসকল বিভাগ থেকেও কয়েকজন প্রার্থী আবেদন করেও বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্লানিং কমিটির ভুল থাকা সত্ত্বেও কেন বোর্ড বাতিল হয়নি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, এটা শুধু জিডিএস না সকল বিভাগেই ঘটে আসছে। সামনে আর এমন ঘটনা ঘটবে না।