আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৫ জুলাই ২০২৫ ● ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৫ জুলাই ২০২৫
জুলাই স্মরণে ‘রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাবি

জুলাই স্মরণে ‘রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাবি

মধ্যরাতের আকাশে ভেসে উঠল ‘জুলাই স্মৃতি’

মধ্যরাতের আকাশে ভেসে উঠল ‘জুলাই স্মৃতি’

চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার

জুলাইয়ের দিনগুলি: ১৩ জুলাই

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
জুলাইয়ের দিনগুলি: ১৩ জুলাই

প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর চা শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ১৭০ টাকা

শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২, বিকাল ০৭:৪২

Advertisement

ডেস্ক: দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে আন্দোলন করে আসা চা শ্রমিকদের এখন ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে গণভবনে দেশের বৃহৎ ১৩টি চা বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। মুখ্য সচিব বলেন, দৈনিক ১৭০ টাকা সর্বনিম্ন মজুরির সঙ্গে বোনাস, বার্ষিক ছুটি ভাতা আনুপাতিক হারে বাড়বে। বেতনসহ উৎসব ছুটি আনুপাতিক হারে বাড়বে। অসুস্থতাজনিত ছুটির টাকা ও ভবিষ্যত তহবিলে নিয়োগকর্তার চাঁদা আনুপাতিক হারে বাড়বে। বার্ষিক উৎসব ভাতাও আনুপাতিক হারে বাড়বে।

সব মিলে ন্যূনতম মজুরি দৈনিক প্রায় সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ টাকা পড়বে বলে জানান আহমদ কায়কাউস।

মুখ্য সচিব জানান, চা শ্রমিকদের সঙ্গে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। শিগগিরই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করবেন।প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল (রোববার) থেকেই সবাইকে কাজে যোগ দিতে বলেছেন।

গত ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং পরে ১৩ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা।শ্রমিকদের টানা ধর্মঘটে স্থবির চা শিল্প।প্রশাসন থেকে শুরু করে চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা কয়েক দফায় চেষ্টা করেও শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে পারেননি।শ্রমিকদের সাফ কথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছাড়া তারা কাজে ফিরবেন না।এরপরই চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে তাদের মালিকদের সঙ্গে বসে আলোচনার ঘোষণা আসে প্রধানমন্ত্রীর।

এদিকে ভরা মৌসুমে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের টানা ১৭ দিনের আন্দোলনের কারণে কয়েকশ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে চা শিল্পে। শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রথম দিকে সব চা বাগানে উত্তোলন করা কাঁচা চায়ের পাতা সময়মতো প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায় পচে ও শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। 

এ ছাড়া চা প্ল্যান্টেশন এলাকা থেকে কচি চা পাতা তুলতে না পারায় সেগুলোও এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এ পাতা চায়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব নয়।

মন্তব্য করুন


Link copied