ডেস্ক: জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ। রোববার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে রওশনের বাসভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে দলের শীর্ষনেতারাও অংশ নেবেন বলে জানায় রওশনের মুখপাত্র কাজী মামুনূর রশিদ।
এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, পার্টির পদত্যাগী নেতারা নতুন করে দল গঠনের উদ্যোগ নিলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। তবে সেখানে রওশন এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে দেখে নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চুন্নু বলেন, নতুন দল গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ।
ঢাকা মহানগরীর ৯ থানার জাতীয় পার্টির ৬৭১ নেতাকর্মীর পদত্যাগের যে সংখ্যার কথা বলা হয়েছে- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চুন্নু বলেন, নির্বাচনের দিন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট দেওয়ার লোক পাওয়া না গেলেও পদত্যাগের জন্য এতো কর্মী কোথা থেকে এলো? জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচনে শেরীফা কাদেরের আসনের কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়ার লোক যেখানে ছিল না, সেখানে পদত্যাগ করার এতো কর্মী সেন্টু সাহেব কোথায় পেল। আমরা বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করব। যার পদত্যাগ করতে মিছিল নিয়ে গেছে, তাদের ৭/৮ জনকে মাত্র চিনি। জাতীয় পার্টিতে এতো কর্মী ছিল সেটাও আজ জানলাম। নেতাকর্মীরা পদত্যাগ করলেও দলে কোনো প্রভাব পড়বে না জানিয়ে জাপা মহাসচিব আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকেও অনেক কর্মী চলে গেছেন। এতে দলের কোনো ক্ষতি হয় না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের ৯ থানার ছয় শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেন। একইসঙ্গে নতুন করে জাতীয় পার্টি ব্রাকেটবন্দি করার ইঙ্গিত দেন তারা। সেদিন বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই গণপদত্যাগের ঘোষণা দেন জাপার ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
তবে জাপা মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি নেতৃত্বে জি এম কাদের, এটাই একমাত্র পার্টি। এরশাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুতির অভিযোগ তুলে ইতোপূর্বেও অনেকে দল ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু তারা জানেই না এরশাদের আদর্শ কী। বলতে পরলে আমি পদত্যাগ করব।