আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মিলনের মরদেহ উত্তোলন

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, দুপুর ০৪:৪৫

Advertisement Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলনের মরদেহ দাফনের ৫৮ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলা হয়। 

মরদেহ উত্তোলনের সময় রংপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। 

মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত বলেন, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত মুসলিম উদ্দিন মিলনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

মুসলিম উদ্দিন মিলন গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরীর সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার পরদিন ২০ জুলাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়। মুসলিম উদ্দিন মিলন নগরীর পূর্ব গনেশপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর দেওয়ানবাড়ী সড়কের একটি জুয়েলার্সে স্বর্ণশ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এদিকে গত ২৭ আগস্ট নিহতের সহধর্মিণী দিলরুবা আক্তার বাদী হয়ে রংপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রংপুর বিভাগের সাবেক কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদাত হোসেন বকুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শফিয়ার রহমান সাফি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৮ থেকে ১৭নং আসামিদের প্ররোচনা ও উসকানিতে ১ থেকে ৭নং আসামিদের নির্দেশে ২, ৩, ৪, ৬ ও ৭নং আসামিসহ হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে মিলন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আসামিদের চাপে মরদেহের ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়।

এদিকে মামলা দায়েরের ৫ দিন পর গত পহেলা সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে সাবেক বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন এবং সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেন মামলার বাদী নিহত মুসলিম উদ্দিন মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার। সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোফাজ্জল হোসেন বকুল। 

মন্তব্য করুন


Link copied