আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

রংপুরে হত্যা ও লাশগুমের মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, বিকাল ০৬:১৭

Advertisement Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন: রংপুরে মুক্তিপণ পরবর্তি হত্যা ও লাশগুমের মামলায় আব্দুল খালেক মন্ডল নামে এক জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, সেই সাথে আরো ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও মুক্তিপণের অপরাধে আরো দশ বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে রংপুরের সিনিয়র দায়রা জজ ফজলে খোদা এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুল খালেক মন্ডল রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার গৌরেশ্বরপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।

মামলা ও আদালত সুত্রে জানা যায়, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা বাজারের মাইন সার্ভে প্লেস ওয়ালটন শোরুমের মালিক আশরাফুল আলম। তিনি পুকুরে মাছ চাষ করতেন। সেই পুকুরে কর্মচারী হিসেবে চাকুরী করতেন আব্দুল খালেক মন্ডল। মুক্তিপণ আদায়ের চিন্তা থেকে আব্দুল খালেক মন্ডল তার বাড়িতে ডেকে নেন ওয়ালটন শোরুমের মালিক আশরাফুল আলমকে। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয় আশরাফুল আলম। পরবর্তিতে আব্দুল খালেক মন্ডল হত্যা করে আশরাফুল আলমের লাশ গুম করে। হত্যার পরেরদিন আব্দুল খালেক মন্ডল ওয়ালটন শোরুমের মালিক আশরাফুল আলমকে আটক রাখার কথা বলে আশরাফুলের স্ত্রীকে ফোন দিয়ে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। আশরাফুলের স্ত্রী স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আশায় মুক্তিপণ দিতে রাজী হয় এবং সেই সঙ্গে বিষয়টি র‍্যাবকে জানায়। আশরাফুলের স্ত্রী টাকা নিয়ে রাণীগঞ্জ ও ধাপেরহাটে র‍্যাবসহ গেলেও সাথে র‍্যাব থাকার কারনে আঃ খালেক আর টাকা নিতে আসেনি। পরে পুলিশ আব্দুল খালেক মন্ডলকে আটক করে। 
পরবর্তিতে নিখোঁজের এক মাস পর আব্দুল খালেকের দেখানো ঠিকানা চতরা বাজারের সন্নিকটস্থ বন্যা আশ্রায়ন কেন্দ্রর অব্যবহৃত সেপটিক ট্যাংক থেকে আশরাফুল আলমের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় নিহত আশরাফুল আলমের স্ত্রী মোছাঃ মোর্শেদা খাতুন বাদী হয়ে ২০১৫ে সালেল ৩ ফেব্রুয়ারী পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আব্দুল খালেক মন্ডল ঘটনা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলমান মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৯ জন সাক্ষী পরীক্ষা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় প্রদান করেন বিচারক। 
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনি লড়াই করেন পিপি আফতাব উদ্দিন এবং আসামী আব্দুল খালেক মন্ডলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রফিকুল ইসলাম লাল।

মন্তব্য করুন


Link copied