রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২ উপ-উপাচার্যসহ অন্য কর্মকর্তাদের ১০ ঘণ্টার বেশি সময় প্রশাসন ভবনের ভেতর আটকিয়ে রেখেছেন পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও প্রশাসন ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল ১০টায় কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
এদিকে, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী ও রাবি অফিসার সমিতি।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবির সহ-সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। আমাদের দাবি না মেনে নিলে আগামী রবিবার থেকে আমরা সবকিছু বন্ধ করে দিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন থেকে শুরু করে ক্লাস-পরীক্ষা সবকিছু বন্ধ থাকবে।’
অন্যদিকে অফিসার্স সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা আগামী ৫ জানুয়ারি উপাচার্য স্যারের সঙ্গে দেখা করব। তিনি যদি আমাদের দাবি মেনে না নেন তাহলে ৬ তারিখে মানববন্ধন, ৭ তারিখে অবস্থান কর্মসূচি এবং ৮ তারিখে দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করব। তাতেও যদি কোনো সমাধান না হয় তাহলে আমরা লাগাতার কর্মসূচিতে যাব এবং কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেব।’
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ রাত ৭টার পরে প্রশাসন ভবনের ভেতর থেকে শাবল দিয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা করেন অবরুদ্ধ থাকা কয়েকজন। এতে বাইরে এক শিক্ষার্থী আহত হন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে প্রশাসন ভবনের সামনেই অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। তালাবদ্ধ অবস্থায় প্রশাসন ভবনের ভেতরেই রয়েছেন ২ উপ-উপাচার্যসহ অন্যরা।
শিক্ষার্থীদের অন্য দুইটি দাবি হলো, ফ্যাসিস্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচারের আওতায় আনা এবং দুইজন ফ্যাসিবাদী শিক্ষককে সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দেওয়ার জন্য উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে উন্মুক্ত স্থানে কারণ দর্শানো। এছাড়া সম্পূরক একটি দাবি হলো ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমান।
এসময় ‘পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসাথে’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম’, ‘দালালদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও বাইরের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছেন।