আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৪ ● ৭ কার্তিক ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: উত্তরবঙ্গে ঘনিয়ে আসছে শীত; তাপমাত্রা ১৭.৮       আড়াই শতাধিক এসআইকে অব্যাহতি       প্রবাসী সরকার: কী বলছে আ.লীগ ও ভারত       রংপুরে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল        ব্যারিস্টার সুমন আটক      

 width=
 

লালমনিরহাটে ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪, দুপুর ১০:৫৩

ডেস্ক: উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বেড়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গরীবুল্লাহ পাড়া, বারোঘরিয়া, গোবরধন, সদর উপজেলার কালমাটি এলাকার অন্তত ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানি বন্দি হয়ে পড়া এসব নিম্নাঞ্চলে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, কৃষকের ধান, বাদাম, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। আর বাড়িঘরে পানি থাকায় খাওয়া, ঘুমসহ সকল কাজে সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তির।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটির বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম(৪৫) বলেন, গত তিনদিন ধরে বাড়িতে পানি থাকায় চুলা জ্বালাতে সমস্যা হচ্ছে। দিনে একবার রান্না করাই কষ্টকর। এছাড়া গৃহপালিত পশুর খাদ্য জোগানেও বেগ পেতে হচ্ছে। 

একই এলাকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দা সহিদার রহমান (৫৫) বলেন, গত তিনদিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির ভয়ংকর শব্দের রাতের ঘুম হারিয়ে যায়। গতরাতে তার প্রতিবেশীর বাড়ির একটি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। 

মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবরধন এলাকার বাসিন্দা জোবায়ের হোসেন (৪০) বলেন, তিস্তার ভয়াল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে কতজন এসে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়না। এখন তিস্তায় পানি বাড়লেই আমাদের এলাকায় প্রবেশ করে। বাড়ি ঘর, রাস্তায় পানি থাকায় চলাফেরাসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়।

এ উপজেলার বারোঘরিয়া, গোবরধনসহ তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি থাকা পরিবারের লোকজনের দাবি, নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে আসায় অল্প পানিতে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর সমস্যা সমাধানে তিস্তা নদী খনন বা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দরকার।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১.৯১ মিটার। যা বিপৎসীমার মাত্র ২৪ সেন্টিমিটার নিচে। এর আগে সকাল ৬ টায় ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.০৫ মিটার। যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তাসহ লালমনিরহাটের সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে পানি দ্রুত নেমে যাবে। নদীতে পলি পড়ে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে আাসায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, পানি কমে গেলে কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিতে পারে। নদী ভাঙন ঠেকাতে জরুরি আপদকালীন কাজ হিসেবে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied