আর্কাইভ  শনিবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ১৩ পৌষ ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
রংপুর চিড়িয়াখানায় রাজা-রানী দেখতে দর্শনার্থীর ভিড়

রংপুর চিড়িয়াখানায় রাজা-রানী দেখতে দর্শনার্থীর ভিড়

মনোনয়নপত্র তুললেন  হেভিওয়েটরা প্রার্থীরা

মনোনয়নপত্র তুললেন হেভিওয়েটরা প্রার্থীরা

১৯ বছর পর বাবার কবরের পাশে তারেক রহমান

১৯ বছর পর বাবার কবরের পাশে তারেক রহমান

জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাচ্ছেন তারেক রহমান, দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ

জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাচ্ছেন তারেক রহমান, দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ

শান্তর ঝোড়ো সেঞ্চুরি, মুশফিকের ফিফটিতে সিলেটকে হারাল রাজশাহী

শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকাল ০৬:৫৮

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: নাজমুল হোসেন শান্তর শুরুটা ছিল ধীরগতির। প্রথম ৮ বলে ২ রান তোলেন। ষষ্ঠ ওভারে সাইম আইয়ুবকে টানা তিনটি চার মেরে শুরু। একই ছন্দে খেলে গেলেন শেষ পর্যন্ত। ইনিংসের শেষ ওভারে হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের মিস ফিল্ডিংয়ে ডাবলসে সেঞ্চুরি হয়ে যায় তার। অন্য প্রান্তে মুশফিকুর রহিমও ব্যাট হাতে সাবলীল। দুজনের একশ ছাড়ানো জুটিতে দুই বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে সিলেট টাইটান্সকে হারিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।

শান্ত ৬০ বলে ১০১ ও মুশফিক ৩১ বলে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৯১ রানের লক্ষ্যে তারা দুজনে মিলে ১৩০ রান করেন ৭১ বলে। ১৯.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৯২ রান করে রাজশাহী।

লক্ষ্যে নেমে প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ৩০ রান তোলে রাজশাহী তানজিদ হাসানের উইকেটের বিনিময়ে। রাজশাহীর বাংলাদেশি ওপেনার ৮ বলে ১০ রান করেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে শান্ত টানা তিন চার মেরে গতি তোলেন। 

অষ্টম ওভারে শাহিবজাদা ফারহান (২০) আউট হওয়ার আগে একটি করে ছয় ও চার মারেন শান্ত। ১২তম ওভারে টানা দুটি চার মারা শান্ত ৩৬ বলে ফিফটির দেখা পান। পরের তিন ওভারে তার ও মুশফিুর রহিমের চার-ছয়ে  ৪৪ রান তোলে রাজশাহী। ৫৫ বলে এই জুটি ১০০ ছোঁয়। দলকে জিতিয়ে দুজনে মাঠ ছাড়েন। 

ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে ৫৮ বলে ১০ চার ও ৫ ছয়ে বিপিএলে দ্বিতীয় শতকের দেখা পান শান্ত। মুশফিকের ম্যাচ জয়ী শটে বাউন্ডারি মেরে দলকে জেতান এবং হাফ সেঞ্চুরিও করেন চারটি চার ও দুটি ছয়ে।

পারভেজ হোসেন ইমন ঝড় তোলার পরে ৫ উইকেটে ১৯০ রান করেছে সিলেট।

পাওয়ার প্লেতে সাইম আইয়ুব আউট হওয়ার আগে দারুণ শুরু করেন। পঞ্চম ওভারে ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২৮ রান করে থামেন পাকিস্তানি ওপেনার। ৩৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর হজরতউল্লাহ জাজাই (২০) বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। 

ওপেনার রনি তালুকদার এই আফগানের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়েন। তারপর ক্রিজে নামেন ইমন। রনির সঙ্গে তার জুটি বড় হয়নি। ২৫ বলে ৩৬ রান আসে। 

আফিফ হোসেনকে নিয়ে ইমন স্বরূপে ফেরেন। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ৪১ বলে ৮৬ রানের জুটি ভাঙে। ইমন ২৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ফিফটি করেন। আফিফ ১৯ বলে ৩৩ রানে আউট হলেও ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল ৪ চার ও ৫ ছয়।

সন্দীপ লামিচানে ৪ ওভারে ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন। এছাড়া বিনুরা ফার্নান্ডো ও তানজিম হাসান সাকিব একটি করে উইকেট নেন।

মন্তব্য করুন


Link copied