আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪, দুপুর ০৩:০৯

Advertisement Advertisement

ডেস্ক: কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 

বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহ পর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রতিবাদকারীরা চাইলে আদালতে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে ভিসিদের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে কোর্টের এজলাসে আসেন প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ বিচারপতি। শুনানির জন্য কার্যতালিকার ৪ নম্বরে থাকা মামলাটি ৯টা ৫৩ মিনিটে শুনানির জন্য আসে। সে সময় আদালত বলেন, ‘সাড়ে ১১টার দিকে আসেন’। 

এরপর আদালতের এজলাস ত্যাগ করেন আইনজীবীরা। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এজলাসে আসেন বিচারপতিরা। ১১ টা ৪২ মিনিটে এজলাসে শুনানি করতে আসেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন ওপর শুনানি করেন। স্টে অর্ডার চান আদালতের কাছে।

মঙ্গলবার সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদন করেন। আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির পর তাদের পক্ষে শুনানি করেন শাহ মঞ্জরুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চাচ্ছি’। 

এরপর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মুনসুরুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা কোটা চাইনি। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা কোটা চায় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোটা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের অবহেলা করা হয়েছে। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, সেটি বহাল রাখা হোক। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় বের হোক। সে পর্যন্ত রায় বহাল রাখা হোক। একটা জাজমেন্ট হয়ে গেছে। আন্দোলন যারা করছে সেটাকে অ্যাপ্রিসিয়েট করা যায় না। রাস্তায় স্লোগান দিয়ে আদালতের রায় বন্ধ করা যাবে না। আন্দোলনকারীদের উসকে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। শিক্ষকদের উচিত তাদের বোঝানো।’ 

আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নয়, তারা সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে ওই আবেদন করেছেন। এই শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল নয়, সংস্কার চান বলে জানান রিটকারীর আইনজীবী।’ 

পরে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

মন্তব্য করুন


Link copied