আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

সার্চ কমিটির তালিকায় বেরোবির সাবেক ভিসির নাম; শিক্ষক সমিতির নিন্দা

বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, বিকাল ০৬:২০

Advertisement Advertisement

বেরোবি প্রতিনিধি: দুর্নীতি, অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতায় অভিযুক্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর নাম নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। 

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সংসদের এক সভায় এই নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়। 

সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম জানান, ‘বিগত চার বছরে ভিসি হিসেবে দায়িত্বে থেকে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে ধ্বংশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত করেও তার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। এমন একজন দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসলে রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়বে বলে আমি মনে করি। তাই নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর নাম সার্চ কমিটির তালিকা থেকেও বাদ দেওয়ার দাবি জানাই।’

শিক্ষক সমিতির সদস্য ও নীল দলের সাধরাণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান মন্ডল বলেন, ‘ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, নিয়োগ বানিজ্য, টেন্ডার বানিজ্য, নৈতিক স্খলনসহ সকল ধরণের অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তাই এমন দুর্নীতিবাজকে দিয়ে রাষ্ট্রের কল্যাণ হতে পারে না।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটির তালিকায় বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক দুর্নীতিবাজ উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর নাম থাকার বিষয়টি আমাদেরকে বিশি^ত করেছে। আমরা হতাশ হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। এমন একজন দুর্নীতি পরায়ন মানুষের নাম কীভাবে সার্চ কমিটির তালিকায় থাকতে পারে বলে প্রশ্ন এই শিক্ষক নেতার।’

প্রসঙ্গত, ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর উপাচার্য থাকাবস্থায় লাগাতার অনুপস্থিতিসহ একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করেন। তার দুর্নীতির প্রামাণ্য দলিলসহ ৭৯০ পৃষ্টার একটি শে^তপত্র প্রকাশ করে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। 

মন্তব্য করুন


Link copied