আর্কাইভ  শনিবার ● ৪ অক্টোবর ২০২৫ ● ১৯ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ৪ অক্টোবর ২০২৫
হঠাৎ খিঁচুনিতে জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

হঠাৎ খিঁচুনিতে জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

বেরোবির শহীদ ফেলানী হলে নানামুখী ভোগান্তি, বৈষম্যের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

বেরোবির শহীদ ফেলানী হলে নানামুখী ভোগান্তি, বৈষম্যের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মিছিল, ব্লকেড কর্মসূচি

নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মিছিল, ব্লকেড কর্মসূচি

মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনায় আজ রাত থেকে ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ

মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনায় আজ রাত থেকে ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ

বেরোবির শহীদ ফেলানী হলে নানামুখী ভোগান্তি, বৈষম্যের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

উম্মে জেবিন,বেরোবি প্রতিনিধি

শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫, রাত ১২:০০

Advertisement

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) নারী শিক্ষার্থীদের একমাত্র আবাসিক হল শহীদ ফেলানী হল(সাবেক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল)। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা আবাসন জনিত নানা সমস্যায় ভুগলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে ন্যূনতম সুবিধা থাকলেও শহীদ ফেলানী হলে তা আরও সীমিত যা আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে বৈষম্যমূলক মনে হচ্ছে।

আবাসিক শিক্ষার্থী আতিকা ঊর্মী অভিযোগ করে বলেন, ৪ সিট ও ৮ সিটের কক্ষের ভাড়া একই হলেও ৮ সিটের কক্ষে একটি বেড দুই শিক্ষার্থীকে ভাগাভাগি করতে হয়। ছোট বিছানায় দুজন মিলে থাকতে হয়, একটি টেবিল-চেয়ারও  দুই জন মিলে শেয়ার করতে হয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া রাত সাড়ে ৮টায় গেট বন্ধ করে দেওয়ায় টিউশনি শেষে হলে ফিরতে সমস্যায় পড়তে হয়।

সাথী রায় জানান, বেশিরভাগ রুমে বেড শেয়ার করে এক বেডে দুইজন থাকতে হয়। চার সিটের রুমে ৮ জন থাকায় পর্যাপ্ত জায়গা থাকেনা রুমে, এক টেবিলে দুইজন এক সাথে পড়াশোনা করতে সমস্যা হয়। এক বেডে দুইজন থাকা স্বত্বেও দুইজনের থেকেই ফুল ভাড়া নেওয়া হয়। মানে জনপ্রতি মাসে ২৫০ টাকা দিতে হয় এক রুমে, ৮ জন মিলে ২০০০ টাকা দেওয়া হয়। অথচ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাড়া ৩০ টাকার বেশি নয়। 

আরেক শিক্ষার্থী(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ডাইনিং এর খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। পর্যাপ্ত প্লেট, বাটি, গ্লাস নেই। ভর্তুকি দেওয়া হলে ভালো হতো। রিডিং রুম খুব জরুরি প্রয়োজন, বিশেষ করে পরীক্ষার সময় পড়ার জায়গা পাওয়া যায় না।

শিক্ষার্থী মনিসা আক্তার জানান, আমাদের হলে কোনো গেস্ট রুম নেই। বাড়ি থেকে কেউ আসলে বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়, যা অস্বস্তিকর। লাইট-ফ্যান নষ্ট হলেও বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও ঠিক করা হয় না। খাবারের মান খারাপ, অথচ সিট ভাড়াও অন্যদের তুলনায় বেশি।

এছাড়াও হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাইরের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নিয়মিত অনুপস্থিতি এবং নষ্ট সরঞ্জাম দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট সিফাত রুমানা বলেন, হল তার পূর্ববর্তী নীতিমালা অনুযায়ী চলছে। ডাবল সিটে সবাইকে প্রথমে থাকতে হয় পরে সিঙ্গেল করা হয়।এইটা আগে থেকেই হয়ে আসছে। যদি এখনি আমরা সকল শিক্ষার্থীকে সিংগেল সিট দিতে চাই তাহলে বর্তমানে ৩০০ শিক্ষার্থীর জায়গা হচ্ছে তখন এর অর্ধেক পরিমান জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে। হলে খাবারের মানোন্নয়ন সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া, আমরা ক্রমাগত চেষ্টা চালাচ্ছি খাবারের মান বজায় রাখতে। 

তিনি আরও বলেন,হলে গেস্ট রুম তৈরির কাজ চলমান, নিচ তালায় অফিস রুম ও গেস্ট রুম একত্রে থাকবে এবং রিডিং রুম প্রসারিত করার বেপারেও কথা চলছে। তবে হলের গেট সাড়ে ৮ টায় বন্ধ করা হয় হল নীতিমালা অনুযায়ী। নীতিমালা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কারণেই এভাবে তৈরি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied