নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
চলতি বছরের ২ জুন হাইকোর্ট বিভাগ বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে রায় দেন।
আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন বলেন, হাইকোর্ট ২ জুন ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছিলেন। জুন মাস থেকে অপেক্ষায় ছিলাম কবে এ রায় প্রকাশ পাবে। আমরা আনন্দিত হয়েছি, আজকে এ রায় সই হয়েছে, প্রকাশ হয়েছে। আসামির এখান থেকে আপিল করার জন্য ৩০দিন সময় পাববে। আপিল করলে আপিল বিভাগে আপিল শুনানি হবে। আমরা আশা করবো এ রায় বহাল থাকবে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।
দণ্ডের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সর শুনানি শেষে ২ জুন বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রদীপসহ দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও অপর ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত।