আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২০ নভেম্বর ২০২৫ ● ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২০ নভেম্বর ২০২৫
সিনহা হত্যা: হাইকোর্টের রায় প্রকাশ

সিনহা হত্যা: হাইকোর্টের রায় প্রকাশ

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের দুজন নিহত, আহত ৪

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের দুজন নিহত, আহত ৪

সেঞ্চুরিতে শততম টেস্ট রাঙালেন মুশফিক

সেঞ্চুরিতে শততম টেস্ট রাঙালেন মুশফিক

কুড়িগ্রামে স্কুলের রাস্তায় স্থাপনা নির্মাণ, যেতে না পেরে গাছতলায় স্কুলের পাঠদান

কুড়িগ্রামে স্কুলের রাস্তায় স্থাপনা নির্মাণ, যেতে না পেরে গাছতলায় স্কুলের পাঠদান

আজ থেকে আর মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবেন না: অ্যাটর্নি জেনারেল

বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, রাত ১২:০০

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আজ থেকে দেশের মানুষ আগামীদিনে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন। দিনের ভোট রাতে হবে না, মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবেন না। এ রকম একটি গণতন্ত্রের মহাসড়কে চলা শুরু করলেন বলে আমরা মনে করি।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুর্নবহাল করে সর্বোচ্চ আদালতের রায় দেওয়ার পর নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আসাদুজ্জামান বলেন, আজকের রায়ে আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলো। এটা কার্যকর হবে পরবর্তী সংসদ ভাঙার পরের ১৫ দিনের মধ্যে।

তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আনা হয়েছিল। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না বলে তা সাংবিধানিক হিসেবেই রায়ে ঘোষিত হলো। তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে হয়তো ফুল জাজমেন্টে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর গত ২১, ২২, ২৩, ২৮, ২৯ অক্টোবর, ২, ৪, ৫, ৬ ও ১১ নভেম্বর শুনানি হয়।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারী পক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন-তোফায়েল আহমেদ (প্রয়াত), এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ ছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।

মন্তব্য করুন


Link copied