 
                                                                        
                                                                        
                                        
স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ যথা সময়ে নৈশ্যপ্রহরী দিয়ে বিদ্যালয় খোলা হলেও অনুপস্থিত ছিলেন দুই স্কুলের সকল শিক্ষক। পরিদর্শনে গিয়ে কাউকে না পেয়ে বৃহস্পতিবার(৮ ডিসেম্বর) প্রধান শিকসহ দুইটি বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষককে শোকজ করে তিনদিনের মধ্যে জবাব চেয়েছেন নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকার। 
এরমধ্যে ডোমার উপজেলার ১ নম্বর চিকনমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ জন যথাক্রমে প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম, সহকারী শিক্ষক মনির উদ্দিন, আরতি রানী, রোকসানা আক্তার, জুলফি আরা বেগম ও সাবিনা ইয়াছমিন এবং চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২জন সহকারী শিক্ষক হালিমা বেগম ও কল্পনা বেগম। 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আমি সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে ১ নম্বর চিকনমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শনে যাই। তখন শুধু নৈশ্য প্রহরী বিদ্যালয়ে ছিল। ছাত্র শিক্ষক কেউ ছিল না। অপরটি চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম সেখানে তিন জন শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও দুই জন শিক্ষক আমি যাওয়ার খবর পেয়ে তারা বিদ্যালয়ে আসে। তাদেরও শোকজ করা হয়েছে। 
এবিষয়ে ১ নম্বর চিকনমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম ঘটনার সত্যতা শিকার করে সাংবাদিকদের জানান, স্যার আজ ৯টা ২০ মিনিটে আমাদের বিদ্যালয়ে আসেন। খবর পেয়ে আমি ৯ টা ২৬ মিনিটে বিদ্যালয়ে আসি। অন্যান্য শিকরা ২/৩ মিনিটের মধ্যে চলে আসে। কিন্তু জেলা স্যার ততক্ষনে চলে যান। তিনি আরো জানান, আমরা শোকজের চিঠি পেয়েছি। ৩ দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে হবে। 
চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হালিমা বেগম জানান, সাংসারিক কাজের কারনে সকালে স্কুলে যেতে দেরি হয় আমার। গিয়ে দেখি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্যার পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি আমাকে ও অপর সহকারী শিক্ষক কল্পনা বেগমকে শোকজ করেন।