আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

২০ বছর পর উদ্ধার গাইবান্ধায় আ.লীগ নেতার দখলে থাকা ১১ বিঘা জমি

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, রাত ০৯:২২

Advertisement Advertisement

গাইবান্ধা প্রতিনিধ:  গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নে তিন একর ৬১ শতাংশ তথা এগারো বিঘা জমি ২০ বছর পর উদ্ধার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান সুদারুরের অবৈধ দখলে ছিল বলে জানা গেছে।  

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত ও স্থানীয় জনগণের সম্বলিত প্রচেষ্টায় জমি দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আব্দুর রহমান সুদারু উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং মধ্য বেলকা গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে।  

গ্রাম আদালত সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে এ জমিটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন। জমির প্রকৃত মালিকরা বহু বছর ধরে তাদের অধিকার ফিরে পেতে লড়াই চালিয়ে আসছিলেন। বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে কয়েক দফা আবেদনের পর জমির সঠিক মালিকানা নিশ্চিত করেন। এক ফয়সালার মাধ্যমে জমি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জমি ফিরে পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মৃত আফাজ উদ্দিন ব্যাপারির ছেলে রেজাউল আলম, মকিজল মেকারের ছেলে মমিনুল ইসলাম, মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে নুরুল ইসলাম, আব্দুল জলিলের ছেলে হায়দার আলী, ওমর উদ্দিনের মেয়ে ওমেদা বেগম, আব্দুল মুন্সী শমছেল মিয়া, তরিকুল্লাহ সোনারের ছেলে নছর শেখ, জহুর উদ্দিন শেখের ছেলে আজিজুল হক, শেয়ালু শেখের ছেলে ইছাহক আলীসহ আরও কয়েকজন।  

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর জমি ফিরে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে রেজাউল আলম বলেন, '২০ বছর ধরে আমরা এই জমি ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আজ জমি ফিরে পেয়ে মনে হচ্ছে আমাদের অধিকার পুনরুদ্ধার হয়েছে। আমরা গ্রাম আদালত ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ।'  

জমি ফিরে পাওয়া হায়দার আলী বলেন, 'আমাদের জমি এতদিন অন্যের দখলে ছিল। আজ এটা আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। ইউনিয়ন পরিষদের এ ধরনের উদ্যোগ সবসময় অবিচারের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে বলে আশা করি।' 

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, 'বহু বছর ধরে জমি উদ্ধারের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। গ্রাম আদালত ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ জমি উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।'

বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বলেন, 'গ্রাম আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং আজকের ফয়সালা সেটির প্রমাণ। সবার সহযোগিতার ফলে জমি উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমরা এলাকার মানুষের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকব।'

মন্তব্য করুন


Link copied