আর্কাইভ  শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫ ● ৮ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

♦ যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রেও
♦ নির্বাচনে আগ্রহীরা ঘুরছেন এলাকায়
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল নদী পাড়

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, দুপুর ০৩:১৯

Advertisement Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘জাগো বাহে-তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে রংপুর-লালমনিরহাটের সংযোগস্থলে অবস্থিত তিস্তা রেলসেতু এলাকা।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের টানা ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে সেতুর নিচের সমাবেশস্থলে। রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল সমাবেশ দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়েছে। টানা ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এর মাধ্যমে তিস্তাপাড়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারকে দাবি বাস্তবায়নে চাপ দেওয়াসহ বিশ্ব পরিমণ্ডলে তিস্তার দুঃখ তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এরইমধ্যে মঞ্চের সামনে শিক্ষার্থী, কৃষক, মৎস্যজীবী, পরিবেশকর্মী, শিক্ষক, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যরা এক কাতারে শামিল হয়েছেন তিস্তা রক্ষার দাবিতে। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের চোখে-মুখে ক্ষোভ আর আশার ছাপ। একদিকে নদী মৃত্যুর প্রহর গুণছে, অন্যদিকে এরই মধ্যে জেগে উঠেছে জনতার অদম্য সংহতি।

সমাবেশে আসা কৃষকরা বলছেন, একসময় এই নদীই ছিল তাদের জীবন জীবিকার একমাত্র উৎস। এখন বালু আর পাথর ছাড়া কিছুই নেই নদীতে। দুই ফসলি জমি এখন মরুভূমি। আবার যখন পানি আসে, বাড়ি ঘর ছাড়তে হয় তাদের।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে রংপুর অঞ্চলের লাখো মানুষ তিস্তাপাড়ে জড়ো হয়েছেন। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলো জন আকাঙ্ক্ষার দাবি। এ কারণে এ অঞ্চলের মানুষ ঘরে বসে নেই। তারা নিজ দায়িত্বে তিস্তাপাড়ে জড়ো হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা তিস্তাপাড়ে অবস্থান করবো। এখানে পালাগান, সারিগান, ভাওয়াই, লালন, লোকসংগীত ও গ্রামীণ খেলাধুলা হা-ডু-ডু, ঘুড়ি উড়ানো, গোল্লাছুট ও দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। আমাদের ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির পর সরকার আমাদের দাবি না মানলে আরও কর্মসূচির ডাক দেব।’

এ দিকে তথ্যসূত্র বলছে, প্রতিবছর বর্ষাকালে উজানে ভারতের পানিতে এ অঞ্চলের মানুষকে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে হয়। শুষ্ক মৌসুমে উজানে ভারত একতরফাভাবে তিস্তার পানি আটকে রাখে। এতে তিস্তার বুকে সেচের পানি পাওয়া যায় না। এ সময় তিস্তা শুকিয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়। কর্মহীন হয়ে পড়েন তিস্তার ওপর নির্ভরশীল কৃষক, জেলে ও মাঝি।

মন্তব্য করুন


Link copied