আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’- প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানাল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, বিকাল ০৭:৪৬

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: 

আজ জাতীয় দৈনিক আমার দেশ-এ ‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’- শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সেই প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনটি অসত্য, তথ্যগতভাবে অসম্পূর্ণ এবং প্রকল্পের বাস্তব পরিস্থিতি উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে।

জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদটি ছিল দেশের সব উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ব্যয়ের অনুমোদন নিয়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সব উপজেলাতে মিনি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনা নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। শেখ রাসেলের নামে এই স্থাপনা বানাতে প্রথম পর্যায়ে প্রতিটির পেছনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫১ লাখ টাকা। কয়েক বছরের ব্যবধানে তা ২৮ গুণ বাড়িয়ে খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ কোটির বেশি। 

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গতকাল রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সব উপদেষ্টার আপত্তি সত্ত্বেও প্রকল্পটি পাস করিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি না থাকায় একনেক সভায় অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যয় বেশি হওয়ায় সব উপদেষ্টাই প্রকল্পটি অনুমোদনের বিপক্ষে ছিলেন, কিন্তু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের একক অনুরোধ ও জোর প্রচেষ্টায় এটি অনুমোদন দেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রকাশিত এই সংবাদের জবাবে আজ এক প্রতিবাদলিপি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সেখানে মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্পের প্রথম পর্যায় ও বর্তমান পর্যায়ের স্টেডিয়ামের অবকাঠামোগত পার্থক্য- ৩ তলা প্যাভিলিয়ন ভবন, ১০০০ দর্শক ধারণক্ষমতার গ্যালারির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য গড়ে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ১১ হাজার টাকা ব্যয়ের কথাও জানানো হয়েছে।  

আর ‘ব্যক্তি আগ্রহে অনুমোদন’ সংক্রান্ত মন্তব্যের ব্যাপারে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে,  ‘প্রতিবেদনে “সজীব ভূঁইয়ার আগ্রহে পাস” মন্তব্যটি সম্পূর্ণরূপে অসত্য, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকল্প অনুমোদনের কোনো ধাপে ব্যক্তি বিশেষের একক প্রভাব বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ নেই। 

এ ধরনের মন্তব্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের পেশাগত সম্মানহানি করে। একনেক কর্তৃক অনুমোদন যোগ্য প্রতিটি প্রকল্প মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাগণের উপস্থিতিতে ও সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা কমিশিনের সদস্য উপস্থাপন করে থাকেন এবং বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে তা অনুমোদিত হয়ে থাকে।

প্রকাশিত সংবাদে প্রকল্পের পর্যায়ভিত্তিক কাঠামো, বাজেট ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য উপেক্ষা করে ভুলতথ্য পরিবেশিত হয়েছে, যা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতি অনাস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি করেছে।

এই মর্মে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনুরোধ করছি, আপনার পত্রিকায় প্রতিবাদলিপিটি এবং সংশ্লিষ্ট ভুল তথ্যের সংশোধনসহ প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

উল্লেখ্য, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের সব উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম তৈরির এই প্রকল্পে প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়ে গেছে ২০১৯ সালে। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে ১৩১টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ হয়েছিল, যার মোট ব্যয় ছিল ৬৬ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা, প্রতিটির গড় ব্যয় ছিল প্রায় ৫২ লাখ টাকা। 

দ্বিতীয় পর্যায়ের মিনি স্টেডিয়াম নির্মান প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই মাসে অনুমোদিত হয়েছিল, যার প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। শুরুতে ১৮৬টি উপজেলায় স্টেডিয়াম বানানোর জন্য প্রকল্প অনুমোদিত হলেও ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২০১টি উপজেলার জন্য দুই হাজার ৬৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরার প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রকল্পের মেয়াদও বাড়িয়ে ২০২৬ এর জুন পর্যন্ত নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ বছর নতুন করে ২ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা সংশোধিত ব্যয়সহ দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়েছে বর্তমানে সেই প্রকল্পের অধীনে ১২৩টি জেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। 

মন্তব্য করুন


Link copied