আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ৪ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইউনূসের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা, হাসিনার পলায়নের সাথে সাথে তিস্তা থেকে বাদ পড়লো ভারত

চীনের চুড়ান্ত পদক্ষেপ
ইউনূসের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা, হাসিনার পলায়নের সাথে সাথে তিস্তা থেকে বাদ পড়লো ভারত

ছাত্রদের ঝরে কাঁপছে প্রতিবেশীর ঘর ! মোদির সামনে বাংলাদেশের ছায়া!

ছাত্রদের ঝরে কাঁপছে প্রতিবেশীর ঘর ! মোদির সামনে বাংলাদেশের ছায়া!

“ তিস্তা শুধু একটি নদী নয় একটি নায়ক ভিলেনের লড়াইয়ের মঞ্চ “

বাস্তবায়ন হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা
“ তিস্তা শুধু একটি নদী নয় একটি নায়ক ভিলেনের লড়াইয়ের মঞ্চ “

ফেলানী হত্যার এক যুগ পর-ছোট ভাইয়ের বিজিবিতে যোগদান

ফেলানী হত্যার এক যুগ পর-ছোট ভাইয়ের বিজিবিতে যোগদান

”মুখ খুললে আমাকেই শেষ করে দেবে”

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বিকাল ০৫:০৯

Advertisement

ডেস্ক: সম্প্রতি মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্থার ঘটনা নিয়ে ‘হেমা কমিশন’ একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানকার খ্যাতনামা অভিনেত্রীরা এগিয়ে এসে নির্যাতনের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই একই অভিজ্ঞতা হয়েছে ঋতাভরী চক্রবর্তীরও।

অনেক অল্প বয়সেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে আসেন। ছোট বয়সেই সাফল্যও পান। ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ একসময় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। ধারাবাহিকে সাফল্য মিলতেই, একেবারে বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। আর সেই পথেই আসে বাধা। কাজের নামে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় তাকে। তা-ও কলকাতার এক নামি প্রযোজকের হাতে। যদিও সেই সময় বলে উঠতে পারেননি। কারণ, অভিনেত্রীর পায়ের তলার মাটি শক্ত ছিল না। কিন্তু, সেই ঘটনার কুৎসিত স্মৃতি তাড়া করে বেড়িয়েছে তাকে বহু দিন।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে ঋতাভরী বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বেশ কিছু বিরক্তিকর ঘটনা ঘটে। একটা মিটিং করতে যাই এক খ্যাতনামা প্রযোজকের সঙ্গে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও গায়ে হাত দেন তিনি। চেঁচিয়ে বেরিয়ে যাই সেখান থেকে। তিনি হাত ধরেছিলেন, আমার তারপর থেকে নিজেকে নোংরা লাগছিল। আমি মাকে পর্যন্ত বলতে পারিনি। খালি মনে হতো, আমি ভুল করেছি। আমি কেন গেলাম মিটিংটাতে! আসলে পায়ের তলার মাটি শক্ত ছিল না, ভয়ে ছিলাম তখন। এত বড় প্রযোজক! আমি মুখ খুললে আমাকেই শেষ করে দেবেন হয়তো। আমি ওই ঘটনায় স্থানু হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমি শতরূপা সান্যালের মেয়ে। অত সহজে হজম করে উঠতে পারিনি।’

যদিও এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। শুধু টলিউডেই নিজেকে বেঁধে রেখেছেন, এমনটা নয়। বলিউড থেকে দক্ষিণী ছবি পর্যন্ত যাতায়াত বেড়েছে ঋতাভরীর। যদিও কাউকে কলঙ্কিত করা তার উদ্দেশ্য নয় বলেই জানান অভিনেত্রী। বরং এই ধরনের প্রবণতা সমূলে যাতে উৎপাটিত হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

নায়িকা জানেন, প্রশ্ন উঠতে পারে, এত দিন পর মুখ খুললেন কেন? ঋতাভরী জানান, শহরে যখন আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে দিনের পর দিন প্রতিবাদ চলছে, সেই সময়েই এক প্রতিবাদ মিছিলে তিনি দেখতে পান ওই প্রযোজককে। তার পর আর চুপ করে থাকতে পারেননি।

ঋভরীর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর ভয়ে আছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন, আমি কী করতে চলেছি। আমি কারও নাম প্রকাশ্যে এনে বদনাম করতে চাই না। আমি চাই না, কেউ বলুক যে, ব্যক্তিগত ক্ষোভ বের করছি।’

মন্তব্য করুন


Link copied