আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ১১ পৌষ ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
দেশে ফিরে তারেক রহমান তিন দিন কোথায় যাবেন, কী করবেন

দেশে ফিরে তারেক রহমান তিন দিন কোথায় যাবেন, কী করবেন

৭৬১ কোটি টাকার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ভোটের মাঠে কাজী রফিক!

৭৬১ কোটি টাকার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ভোটের মাঠে কাজী রফিক!

৮ম শ্রেণির ৬৭ শতাংশ বই প্রস্তুত হয়নি, প্রাথমিকের শতভাগ সরবরাহ

মাধ্যমিক বিদ্যালয়
৮ম শ্রেণির ৬৭ শতাংশ বই প্রস্তুত হয়নি, প্রাথমিকের শতভাগ সরবরাহ

দিনাজপুর-সদর আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ 

দিনাজপুর-সদর আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ 

”মুখ খুললে আমাকেই শেষ করে দেবে”

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বিকাল ০৫:০৯

Advertisement

ডেস্ক: সম্প্রতি মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্থার ঘটনা নিয়ে ‘হেমা কমিশন’ একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানকার খ্যাতনামা অভিনেত্রীরা এগিয়ে এসে নির্যাতনের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই একই অভিজ্ঞতা হয়েছে ঋতাভরী চক্রবর্তীরও।

অনেক অল্প বয়সেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে আসেন। ছোট বয়সেই সাফল্যও পান। ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ একসময় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। ধারাবাহিকে সাফল্য মিলতেই, একেবারে বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। আর সেই পথেই আসে বাধা। কাজের নামে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় তাকে। তা-ও কলকাতার এক নামি প্রযোজকের হাতে। যদিও সেই সময় বলে উঠতে পারেননি। কারণ, অভিনেত্রীর পায়ের তলার মাটি শক্ত ছিল না। কিন্তু, সেই ঘটনার কুৎসিত স্মৃতি তাড়া করে বেড়িয়েছে তাকে বহু দিন।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে ঋতাভরী বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বেশ কিছু বিরক্তিকর ঘটনা ঘটে। একটা মিটিং করতে যাই এক খ্যাতনামা প্রযোজকের সঙ্গে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও গায়ে হাত দেন তিনি। চেঁচিয়ে বেরিয়ে যাই সেখান থেকে। তিনি হাত ধরেছিলেন, আমার তারপর থেকে নিজেকে নোংরা লাগছিল। আমি মাকে পর্যন্ত বলতে পারিনি। খালি মনে হতো, আমি ভুল করেছি। আমি কেন গেলাম মিটিংটাতে! আসলে পায়ের তলার মাটি শক্ত ছিল না, ভয়ে ছিলাম তখন। এত বড় প্রযোজক! আমি মুখ খুললে আমাকেই শেষ করে দেবেন হয়তো। আমি ওই ঘটনায় স্থানু হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমি শতরূপা সান্যালের মেয়ে। অত সহজে হজম করে উঠতে পারিনি।’

যদিও এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। শুধু টলিউডেই নিজেকে বেঁধে রেখেছেন, এমনটা নয়। বলিউড থেকে দক্ষিণী ছবি পর্যন্ত যাতায়াত বেড়েছে ঋতাভরীর। যদিও কাউকে কলঙ্কিত করা তার উদ্দেশ্য নয় বলেই জানান অভিনেত্রী। বরং এই ধরনের প্রবণতা সমূলে যাতে উৎপাটিত হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

নায়িকা জানেন, প্রশ্ন উঠতে পারে, এত দিন পর মুখ খুললেন কেন? ঋতাভরী জানান, শহরে যখন আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে দিনের পর দিন প্রতিবাদ চলছে, সেই সময়েই এক প্রতিবাদ মিছিলে তিনি দেখতে পান ওই প্রযোজককে। তার পর আর চুপ করে থাকতে পারেননি।

ঋভরীর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর ভয়ে আছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন, আমি কী করতে চলেছি। আমি কারও নাম প্রকাশ্যে এনে বদনাম করতে চাই না। আমি চাই না, কেউ বলুক যে, ব্যক্তিগত ক্ষোভ বের করছি।’

মন্তব্য করুন


Link copied