আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

নীলফামারীতে ভোট ডাকাতির অভিযোগে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১, বিকাল ০৭:০৯

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ গত ১১ নভেম্বর নীলফামারী সদরের চড়াইখেলা ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট ডাকাতির অভিযোগে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়ক সাড়ে তিন ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ এলাকাবাসী। 

আজ শনিবার(১৩ নভেম্বর/২০২১) বেলা ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ওই সড়কের দারোয়ানী বাজারে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন বিক্ষুদ্ধরা। পরে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে অবেরোধ প্রত্যাহার করেন তারা। 

জেলার প্রধান ওই সড়কটি সাড়ে তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকায় দূরপাল্লাসহ সকল যান চলাচল বন্ধ থাকে এসময়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা। এরআগেও গতকাল শুক্রবার(১২ নভেম্বর) এলাকাবাসী একইস্থানে অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। 
ওই অবরোধ কর্মসূচিতে এলাকাবাসীর সঙ্গে অংশগ্রহন করেন ইউনিয়নটির প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন প্রামানিক (আনারস), আসাদুল হক শাহ (চশমা), আব্দুর রহমান  (ঘোড়া), জাকির হোসেন মোল্লা (ইজিবাইক), মকসেদুর রহমান (হাতপাখা)।

তাদের অভিযোগ, চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাত নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের ব্যাপক কারচুপি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এমন ডাকাতির প্রমানে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার সময় ব্যালট পেপারের একটি বস্তা ফেলে যান। এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক সেটির প্রতিবাদ জানালে রাতে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত হয়। এরপর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভোরে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুম রেজাকে  (মোটরসাইকেল) বিজয়ী ঘোষণা করেন। 
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসাদুল হক শাহ (চশমা) অভিযোগ করে বলেন, ওই মাসুম রেজা পুলিশের একজন ডিআইজির নিকট আত্মীয়। নির্বাচনে তার চাচার প্রভাব খাটিয়ে ব্যাপক ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন এলাকায়। নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ভোটে ব্যাপক কারচুপি করেছেন। সবশেষ ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের ব্যালট বস্তাবন্দী করে ফেলে রেখে নিজের সরবরাহ করা ব্যালট বাক্সে ভরেন। 
অপর প্রতিদ্বন্দ্বী মুরাদ হোসেন প্রামানিক (আনারস) বলেন, তারা ওই ব্যালট গায়েব করার জন্য বস্তাটি বাথরুমে রেখেছিলেন। ব্যালট বাইরে রেখে কর্মকর্তারা ভোটের হিসাব কিভাবে মেলালেন?  এতে করে প্রমান হয় ষড়যন্ত্রের বিজয়ী মাসুম রেজা নকল ব্যালট সরবরাহ করেছিলেন। তিনি বলেন, কারসাজি ও ভোট ডাকাতির ওই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। তারা পুণঃনির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন ও দারোয়ানী বাজারে সড়ক অবরোধ করেন। শনিবার দারোয়ানী বাজারে সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। ষড়যন্ত্রের ওই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের আবেদন জানিয়েছি জেলা প্রশাসকের কাছে । 
অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রহমান (ঘোড়া) বলেন, নির্বাচন বাতিলের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর হাত থেকে বস্তাটি উদ্ধার করেছিলেন প্রশাসন। এরপর রাতে ফলাফল স্থগিতের কথা জানো হলেও ঘড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভোররাতে মাসুম রেজাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। 
           এদিকে চেয়ারম্যান পদে ভোট পুণগণনার দাবিতে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের বেলতলী বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইদিন বেলা ১১টার দিকে ঘন্টাব্যাপী ওই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তৃতা দেন ওই ইউপি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যাম চরণ রায়। তিনি দাবি করে বলেন, সুষ্ঠভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হলেও গণনায় কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে। ওই ভোট পুণগণনা করা হলে রহস্য বেরিয়ে আসবে। 
এসব বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফলাফল বাতিল করার সুযোগ নেই। তারা চাইলে ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। ব্যালটের বস্তার বিষয়ে তিনি বলেন, তাড়াহুরার মধ্যে ভুলবশত চড়াইখোলা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডে ব্যালটের একটি বস্তা ছেড়ে এসছিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। এরপর তিনি গিয়ে ওই বস্তা নিয়ে এসেছেন। এজন্য ফলাফল ঘোষণায় একটু বিলম্ব ঘটে। পরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যে গভীর রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিবেন। আমি তাদেরকে বিষয়গুলো অবহিত করার পর সন্তুষ্ট হয়ে তারা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন। 

মন্তব্য করুন


Link copied