ডেস্ক: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধানের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন অবৈধভাবে চাকরি করার দায়ে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের শিক্ষক মাহামুদুল হকের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিন্নাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার (১৪ মার্চ) এ রুল জারি করেন।
প্রসঙ্গত যে, মাহামুদুল হক তাবিউর রহমানের অবৈধ নিয়োগের কারণে নিয়োগ বঞ্চিত হন এবং সাত বছর আইনি লড়াইয়ে পর হাইকোর্টের রায়ে নিয়োগ পান ২০১৯ সালে।
রিটকারী শিক্ষক মাহামুদুল হক বলেন, ‘তাবিউর রহমান অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে অবৈধ কর্ম করে চলেছেন এবং অবৈধ কর্ম চালানোর জন্য শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এসেছেন। শিক্ষক সমিতির তিনবার সাধারণ সম্পাদক, পাঁচবার ওই সমিতির নির্বাহী সদস্য হয়েছেন। তার প্রভাষক পদের নিয়োগ হয়েছে অবৈধভাবে। তার ওই অবৈধ অস্থায়ী পদ স্থায়ী করতেও পদে অনিয়ম করা হয়েছে। আবার তার প্রভাষক পদে স্থায়ীকরণ হওয়ার আগেই তিনি হয়েছেন সহকারী অধ্যাপক।’
নিয়োগ বোর্ড এবং সিন্ডিকেটের নথি থেকে জানা যায়, তাবিউর রহমানকে ৭ মার্চ পদোন্নতি বোর্ড করে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। একইদিনে ৭৭তম বিশেষ সিন্ডিকেটে অনুমোদন দেওয়া হয়। তাবিউর রহমান পতাকা অবমাননা মামলার অন্যতম আসামি। মামলার তদন্তে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিতও হয়েছে। অথচ তাকে বরখাস্ত না করে দেওয়া হয়েছে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি তাও আবার অনিয়ম করে। অথচ একইভাবে রংপুর কোতয়ালী থানায় এক মামলায় তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়ায় ২০১৫ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর ৪৫তম সিন্ডিকেটে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি স্থগিত করা হয়। তাবিউর রহমানের ‘অবৈধ নিয়োগ’ স্থায়ী করতেও পদে পদে অনিয়ম করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।