আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

''জীবনের কাছে হার মেনে গেলাম ,আমি আর পারলাম না" স্ট্যাটাস দিয়ে আত্নহত্যা

শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২, রাত ০৯:০২

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে সোহাগ খন্দকার (৩২) নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক এক শিক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে। শনিবার(৯ এপ্রিল) ভোরের দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহরের কয়ানিজ পাড়া মহল্লার নিজবাড়ির শোয়ার ঘরে সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্নহত্যা করে। সোহাগ উক্ত মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মূর্তজা আলমের ছেলে। 

এলাকাবাসী জানায়, সোহাগ খন্দকার রাবি-র ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছে। মা অনেক আগেই মারা গেছে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সোহাগ সবার ছোট। বড় দুই ভাই চাকুরি করে ঢাকায়। সোহাগ বিয়ে করলেও স্ত্রীর সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বাড়িতে অসুস্থ্য বাবার দেখা শোনা করতো সে। এলাকাবাসী আরও জানায় আত্নহত্যার পূর্বে সোহাগ ফেসবুকে চারটি স্ট্যাটাস দেন। ফেসবুকে প্রথম স্ট্যাটাসে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিটে তিনি লিখেছেন, ভালো থাকুক সেসব মানুষ যারা শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যার কাছে অন্যের গুরুত্ব নাই বললেই চলে। এরপর শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৪৯ মিনিটে ফেসবুকে তিনি আরও একটি স্ট্যাটাস দেন।

এতে তিনি লিখেন, যদি কেউ আমার ওপর কষ্ট নিয়ে থাকেন। আল্লাহর দোহাই মাফ করে দিবেন। রাত ৩টা ৮ মিনিটে তৃতীয় স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, জীবনের কাছে হার মেনে গেলাম। আমি আর পারলাম না। সর্বশেষ রাত ৩টা ১১ মিনিটে আরও একটি স্ট্যাটাস দেন সোহাগ। এতে তিনি জানান, একটা মানুষ তার জীবনের কাছে যখন হেরে যায় তখন আর করার কিছু থাকে না।এই স্ট্যাটাসের পর থেকেই সোহাগকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আর পাওয়া যায়নি। সোহাগের এমন স্ট্যাটাস দেখে স্থানীয়রা তার বাসায় এসে তাকে ডাকাডাকির পর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে শোয়ার ঘরের দরজা ভেঙে তার কক্ষে প্রবেশ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।  তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied