স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ চালকের মাথায় হেলমেট না থাকলে ওই মোটরসাইকেলে পেট্রোল না দিতে পাম্প মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নীলফামারী জেলা পুলিশ। সাথে কম বয়সী ছেলেদের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি না তা দেখার জন্য বলেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
রবিবার(২৭ নভেম্বর) বিকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলার পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে “নো হেলমেট-নো ফুয়েল” শীর্ষক মতবিনিময় সভা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর। এসময় পাম্প মালিকদের দুর্ঘটনা যাতে কমে আসে সে জন্য ১৮ বছর বয়সের নিচে যারা মোটরসাইকেল নিয়ে পাম্পে আসবে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে কি না, যাছাই করে তেল দেয়ার জন্য বলেন তিনি। যদি কোন যুবকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাকে পেট্রোল না দেয়ার নির্দেশনা দেন।
পুলিশ সুপার বলেন, সড়ক-মহাসড়ক ছাড়াও আঞ্চলিক সড়কেও এখন অহরহ মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা ঘটছে। মাথায় হেলমেট না থাকার কারণে তি হচ্ছে বেশি। কিন্তু হেলমেট থাকলে তিও কম হয়। তাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে পেট্রোল পাম্প মালিকদের এ অনুরোধ করেছি। তিনি বলেন, আপনারা অভিভাবকদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করবেন। ১৮ বছরের আগে তাদের সন্তানদের হাতে যেনো মোটরসাইকেল না দেয়। তাহলে “নো হেলমেট-নো ফুয়েল” কার্যক্রম সফল হবে। হেলমেট ছাড়া পেট্রোল দেয়া বন্ধ হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে অভিমত পুলিশ সুপারের।
পুলিশ সুপার আরো জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আরোহীদের পেট্রোল কাছে যেন বিক্রয় করা না হয়। কোন ব্যক্তি হেলমেট ছাড়া তেল নিতে এসে মালিক বা ম্যানেজারের সাথে খারাপ আচারন করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডোমার-ডিমলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি সফিকুল আলম ডাবলু, জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি আকতার হোসেন স্বপন, নীলফামারী প্রেসকাবের সভাপতি তাহমিন হক ববী ও ৬ থানার ওসি প্রমুখ।