ডেস্ক: ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’। রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। শাখাওয়াত হোসেন শফিকের বেলায় যেন তাই হয়েছে। পদ হারানোর পরপরই তাকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে রংপুর অঞ্চল আওয়ামী লীগে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। কেউ কেউ এতটাই অশ্লীল ভাষায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন, যা মুখে আনাই দুষ্কর। কেউ লিখেছেন- রাহুমুক্ত হয়েছে রংপুর বিভাগ আওয়ামী লীগ। আবার কেউ লিখেছেন- ২৪শে ডিসেম্বর রংপুরমুক্ত দিবস। আবার কেউ লিখেছেন- ক্ষমতা টাটা, বাই বাই। আবার কেউ লিখেছেন- মর্জিনা মাই হামার শুখোত পইল, টাপুস করি ভাতার মইল।
আবার কেউ লিখেছেন- আলহামদুলিল্লাহ। সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়েই ঝাঁকুনিটা ভালোই দিয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখাওয়াত হোসেন শফিক। তার বিতর্কিত মন্তব্য ও কর্মকাণ্ড শুরু থেকেই রংপুর বিভাগ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নানা তর্কের জন্ম দেয়।
জানাগেছে, শাখাওয়াত হোসেন শফিকের বোন এডভোকেট সেইজী নীলফামারী জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি এবং তার বোন জামাই মরহুম রাজ্জাকুল ইসলাম রাজা কিশোরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি থাকায় নীলফামারীতে তার বক্তব্য আলাদা ইমেজ সৃষ্টি করলেও নীলফামারী আওয়ামী লীগে জোর গুঞ্জন এখনো চাউর। জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগে ত্যাগীদের হটিয়ে তার জন্যই ঠাঁই পেয়েছেন চিহ্নিত জামায়াত-শিবিরকর্মী ও জাপা থেকে আসা সুবিধাবাদীরা। ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগেও একই অবস্থা। যারা দলে ভিড়েছেন তাদের অনেকেরই শিকড় নড়বড়ে।
তবে গত কিছুদিন ধরেই দল থেকে বাদ পড়ছেন শফিক এমন গুঞ্জন আওয়ামীপাড়ায় ডালাপালা মেললেও ২৪শে ডিসেম্বর সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে শফিকের উপর দিয়েই ঝড় বয়ে গেছে।
কে এই সাখাওয়াত হোসেন শফিক?
শফিক বগুড়া-৬ নির্বাচনী এলাকার। এর আগে তিনি আওয়ামী কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের (লিয়াকত-বাবু) সাবেক সহসভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।