আর্কাইভ  শুক্রবার ● ৯ মে ২০২৫ ● ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ৯ মে ২০২৫
ভারতশাসিত কাশ্মীরে ব্ল্যাকআউট, জম্মু বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ

ভারতশাসিত কাশ্মীরে ব্ল্যাকআউট, জম্মু বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ

ইসরাইলের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে ভারত

ইসরাইলের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে ভারত

পাকিস্তানে ভারতের হামলার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন?

পাকিস্তানে ভারতের হামলার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন?

সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অমিত শাহ’র জরুরি বৈঠক

সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অমিত শাহ’র জরুরি বৈঠক

নীলফামারীতে সূত্রহীন' হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন॥চারজন খুনী গ্রেপ্তার

সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩, বিকাল ০৭:১৪

Advertisement

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি এলাকার সূত্রহীন (ক্লু-লেস) মোরশেদুল ইসলাম(৩৩) হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে নীলফামারী পুলিশ। হত্যাকান্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 
সোমবার(২ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করে নীলফামারী পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম-সেবা। তিনি জানিয়েছে এক বন্ধুর বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া, আরেক বন্ধুর বোনের সর্ম্পকে মিথ্যে বদনাম ছড়ানো ও টাকা লেনদেনের সুত্র ধরে ৬ জন এক জোট হয়ে মোরশেদুল ইসলামকে ডেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে চারালকাটা নদীর ধারে নিয়ে বালু চাপা দিয়ে রেখেছিল। 
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা উক্ত এলাকার উত্তর দুরাকুটি মাস্টারপাড়ার বাদশা আলমগীর(৩১), একই এলাকার বাসোপাড়ার ইব্রাহিম ইসলাম(১৯), সেলিম মিয়া (২৭) ও দক্ষিন দুরাকুটি ময়নাকুড়ি এলাকার আনারুল ইসলাম(৩০)। 
হত্যার শিকার মোরশেদুল ইসলাম উত্তর দুরাকুটি বাসোপাড়া গ্রামের একরামুল হকের ছেলে। সে চলতি বছরের ২৪ আগষ্ট নিখোঁজ হয়। পরিবারের পক্ষে থানায় কোন কিছু জানানো হয়নি। এ অবস্থায় গত ২৭ আগষ্ট দুপুরে নদীর ধারে বালুচাপা একটি লাশ কুকুর টেনে বের করার পর পুলিশ খবর পায়। অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ অবস্থায় সেদিন পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে লাশটি মোরশেদুলের তা শনাক্ত করে।  
পুলিশ সুপার জানান, মোরশেদুল পেশায় মোটর শ্রমিক ছিল। ঘটনার দিন রাত ৮টায় মোরশেদুলকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সময় আশেপাশের বেশ কিছু দোকানী তা দেখতে পায়। ওই সুত্র ধরে তদন্ত নেমে আসামীদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়। এরপর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) মোহাম্মদ সারোআর আলম, কিশোরগঞ্জ থানা ওসি রাজীব কুমার রায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুর ইসলাম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বাদশা আলমগীরকে ঢাকা থেকে ও অপর তিন আসামীকে নিজবাড়ি হতে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামীরা তাদের সাথে জড়িত আরও দুইজনের কথা উল্লেখ করে। তাদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে। আসামীদের মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় ইব্রাহিম, সেলিম ও আনারুল স্বীকারোক্তি প্রদান করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আমিরুল ইসলাম সহ অভিযান পরিচালনাকারী উল্লেখিত কর্মকর্তাগন। 

মন্তব্য করুন


Link copied