আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

♦ যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রেও
♦ নির্বাচনে আগ্রহীরা ঘুরছেন এলাকায়
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

সমাজকল্যাণমন্ত্রীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ ‘ভুয়া’ দাবি তার ভাইয়ের

বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, বিকাল ০৭:৪৫

Advertisement Advertisement

ডেস্ক: লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ 'ভুয়া' বলে দাবি করেছেন তারই আপন ছোট ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় অনুষ্ঠিত ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর এক নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়ে নিজের ভাইয়ের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বিষয়ে এ দাবি করেন মাহবুবুজ্জামান।  

মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ভাই মাহবুবুজ্জামান কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল হকের ঈগল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ঈগল প্রতীকের ওই জনসভায় মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে আমরা কোনোদিনই সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জানতাম না। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পোস্টারে তিনি হঠাৎ করেই মুক্তিযোদ্ধা লিখেছিলেন। সে সময় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন। ওই সময় মন্ত্রী বলেছিলেন তিনি সব কাগজপত্র বানিয়ে নিয়েছেন।

মাহবুবুজ্জামান আহমেদ আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমার ভাই নুরুজ্জামান আহমেদের বয়স ২২/২৩ বছর ছিল। আমাদের পারিবারিক পাটের ব্যবসা দেখভাল করতেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাট কেনার জন্য তিনি ভারতের কোচবিহার জেলার সিতাই এলাকায় অবস্থান করেছিলেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধার ট্রেনিং নেননি, তিনি কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। তার মুক্তিযোদ্ধা সনদটি ভুয়া।

কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য  বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মর্তুজা হানিফ বলেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া। নুরুজ্জামান আহমেদ কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন, কোথায় যুদ্ধ করেছেন এবং কারা তার সহযোদ্ধা ছিলেন এসবের কোনোকিছু বলতে পারবেন না। কালীগঞ্জ উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা বিষয়টি জানেন। কিন্তু ক্ষমতার দাপট থাকায় কেউ-ই সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না।

প্রতিপক্ষের এমন বক্তব্যের জবাবে নিজের নির্বাচনী জনসভায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছি কিনা, আমি যুদ্ধ করেছি কিনা আর আমার সহযোদ্ধা আছে কিনা সেটা আমি জানি। ওরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। সময় এলে ওদের মিথ্যাচারের সঠিক জবাব দেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন


Link copied