আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

চাকরীপ্রার্থীদের সাথে টাকার চুক্তি করতেন ঠাকুরগাঁওয়ের প্রিয়নাথ

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪, দুপুর ১২:৩৫

Advertisement Advertisement

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: প্রশ্নপত্র ফাঁসের নাটের গুরু আবেদ আলীর দোসর ঠাকুরগাঁওয়ের প্রিয়নাথ রায়৷ চাকরি দেয়ার শর্তে একেকজনের সাথে চুক্তি করতেন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। পরীক্ষার আগেই প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়ে চাকরি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন প্রিয়নাথ। নিজের এলাকায় তেমন সম্পদ না থাকলেও দিনাজপুর ও ঢাকা খোঁজ পাওয়া গেছে তার বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির। 

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রর হোতা আবেদ আলী ধরা পড়েছেন। ধরা পড়েছে কয়েক দোসর। তাদের অন্যতম একজন প্রিয়নাথ রায়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আবেদ আলী বলেছেন, প্রিয়নাথ রায় চাকরিপ্রার্থীদের তার কাছে পৌঁছে দিতেন। চুক্তি হতো ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়, অগ্রিম নেয়া হতো ২ থেকে ৫ লাখ টাকা। হতো সেই বিপুল অর্থের ভাগবাটোয়ারা। কে এই প্রিয়নাথ রায়?

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের রাইতু রায় ও রাজবালা দম্পতির সন্তান প্রিয়নাথ রায়। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা প্রিয়নাথ এসএসসি পরীক্ষার সময় হারান বাবাকে। এইচএসসি’র পরে বন বিভাগে চাকরি নেন। ডিগ্রি পাস করে সেনাবাহিনীর অডিটর পদে যোগ দেন। চাকরি প্রশ্নফাঁস চক্রের সাথে। চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন প্রিয়নাথ। জড়িয়েছেন মামলায়ও। মামলার পর থেকে তাকে গ্রামে আসতে দেখেননি পড়শিরা।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব বলেন, তারা সবাই বাইরে থাকে। এখানে ওর মা ছাড়া কেউ থাকেনা। শুধু শোনেছি চাকরী দেয়ার নামে সে টাকা নিত। পুলিশও এসেছে অনেকবার। কিন্তু সে অনেকদিন ধরে বাড়িতে আসেনি। এখন দেখছি এমন কর্মকান্ড। 

গ্রামের বাড়িতে একা থাকেন তার মা। দুই সন্তান ও স্ত্রী থাকেন দিনাজপুরের বাড়িতে। অপকর্মে ছেলের জড়িয়ে পড়ায়, দায়ী করলেন পুত্রবধূকে। তবে দোষী হলেও ছেলের মুক্তি চান তিনি৷ 

প্রিয়নাথের মা রাজবালা বলেন, আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। তার বউয়ের পরামর্শে সে চলে। আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই। 

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, চাকরি দেয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় রয়েছে প্রিয়নাথের নামে একাধিক মামলা।কিন্তু কয়েক বছর ধরে সে বাড়িতে আসেনা।।

উল্লেখ্য, সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুজন উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন সিআইডি পুলিশ। তাদের অন্যতম প্রিয়নাথ রায়।

মন্তব্য করুন


Link copied