আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২২ আগস্ট ২০২৫ ● ৭ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২২ আগস্ট ২০২৫
পিআরের বিরুদ্ধে অনড় বিএনপি

♦ শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা
♦ জুলাই সনদ নিয়ে আশাবাদী
পিআরের বিরুদ্ধে অনড় বিএনপি

ভোটের লড়াইয়ে ৫০৯ প্রার্থী

ভোটের লড়াইয়ে ৫০৯ প্রার্থী

পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারী হিসাবে যুক্ত হচ্ছে শেখ হাসিনার নাম

পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারী হিসাবে যুক্ত হচ্ছে শেখ হাসিনার নাম

উপদেষ্টা আসিফের প্রেস সেক্রেটারির টেন্ডারের কমিশন নিয়ে দর কষাকষির অডিও ফাঁস

উপদেষ্টা আসিফের প্রেস সেক্রেটারির টেন্ডারের কমিশন নিয়ে দর কষাকষির অডিও ফাঁস

লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা 

সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪, বিকাল ০৭:১৩

Advertisement Advertisement

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শীর্ষ সন্ত্রাসী, হুন্ডি ব্যবসায়ী সাখওয়াত হোসেন সুমন খান ও তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার রুমার নামে মামলা করেছে সিআইডি।

লালমনিরহাট জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি গত বৃহস্পতিবার দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, হুন্ডি ব্যবসা, চোরাচালান, টেন্ডারবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

শাখাওয়াত হোসেন সুমন খান লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা শহরের কালীবাড়ি মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত বাচ্চু খানের ছেলে।

হুন্ডি ব্যবসার কারণে তিনি হুন্ডি সুমন নামেও জেলাজুড়ে পরিচিত।  

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন খানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, স্বর্ণ ও মুদ্রা পাচার ইত্যাদির বিষয়ে দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে লালমনিরহাট সিআইডি পুলিশ।

অনুসন্ধানে সুমন খানের ব্যাংকে ২৩৭,৪৯,৪৮,৭৬০/- (দুইশ সাইত্রিশ কোটি ঊনপঞ্চাশ লাখ আটচল্লিশ হাজার সাতশ ষাট) টাকা, তার স্ত্রী মোছা. নাহিদা আক্তার রুমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪,৩৯,৩৫,৩১০/-(চার কোটি ঊনচল্লিশ লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার তিনশ দশ) টাকার সন্ধান মেলে।  

এছাড়া সুমন খানের কর্মচারী লালমনিরহাট পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা হারুনের ছেলে তৌকির আহমেদ মাসুমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৮৬,৯৫,৬২,১২৭/- (একশ ছিয়াশি কোটি পঁচানব্বই লাখ একষট্টি হাজার একশত সাতাশ) টাকা পাওয়া গেছে।

বৈধ আয়ের উৎস না থাকলেও তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা, স্থানান্তর ও রূপান্তর করা হয়। এসব অভিযোগে ২০১৫ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় তাদের তিনজনের নামে মামলা করে সিআইডি পুলিশ।  

সিআইডি লালমনিরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল হাই সরকার জানান, নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন


Link copied