আর্কাইভ  রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫ ● ২০ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

দিনাজপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

দিনাজপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

হুমকির মুখে রংপুরের কৃষি ও জীববৈচিত্র্য

মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর ০৩:৪৮

Advertisement

উত্তরবাংলা ডেস্ক: জলবায়ুর পরিবর্তনে রংপুরসহ আশপাশ এলাকায় আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উষ্ণতার কারণে কৃষি, প্রাণী ও মৎস্য সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর এ সময় এ অঞ্চলে শীতের আমেজ বিরাজ করলেও বর্তমানে দিনের বেলা প্রচণ্ড গরম এবং রাতে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। রংপুরসহ আশপাশ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ অঞ্চলের স্থলভাগের ওপর তাপপ্রবাহের ঘনত্ব বেড়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের কারণে খরার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। শীতকালের পরিধি কমে যাচ্ছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসসূত্রে জানা গেছে, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে গত তিন বছরের একই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি বেড়ে ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। দেখা গেছে, তিন বছরের ব্যবধানে এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বেড়েছে। এ বৃষ্টি আবহাওয়াবিদদের মতে অসময়ের বৃষ্টি। কৃষিবিদদের সফঙ্গ কথা বলে জানা গেছে, প্রকৃতির এমন আচরণে কৃষি ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে খেতে শীতকালীন শাকসবজি, আমন ধান এবং আগাম আলু রয়েছে। তাপমাত্রা বেশি থাকায় কাক্সিক্ষত ফলন না-ও পাওয়া যেতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া উষ্ণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ অঞ্চলে তিস্তাসহ অন্যান্য নদনদী মরে যেতে বসেছে। অনেক স্থানে নদনদী শুকিয়ে ক্ষীণ ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদনদী দেখলে এখন আর কেউ মনে করেন না একসময় এসব খরস্রোতা ছিল। এ সময় নদনদীতে পানি থাকত এবং প্রচুর দেশি মাছের দেখা মিলত। দেশি মাছের তালিকায় ছিল মাগুর, শিং, পাবদা, টেংরা, পুঁটি, মলা, ঢ্যালা, চ্যালা, শোল, বোয়াল, আইড়, ভ্যাদা, বাইম, খলিশা, ফলি, চিংড়ি, গজার, বেদা, চেং, টাকি, চিতল, পোয়া, বালিয়া, গুতম, গজার। নদনদীতে পানি না থাকা এবং  জলবায়ুর প্রভাবে এসব প্রজাতির মাছ এ অঞ্চল থেকে এখন বিলুপ্তির পথে। এ ছাড়া প্রাণিজগতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিল, শকুন, শিয়াল, মহিষসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে। এসব প্রাণী এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কৃষি ও জীববৈচিত্র্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য থেকে অনেক প্রাণী হারিয়ে যেতে পারে। এ অঞ্চল দ্রুত মরুকরণের দিকে এগিয়ে যাবে। রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত তিন বছরে এ অঞ্চলে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জলবায়ুর পরিবর্তনসহ নানা কারণে আবহাওয়ার এ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন


Link copied