আর্কাইভ  রবিবার ● ১৩ জুলাই ২০২৫ ● ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ১৩ জুলাই ২০২৫
সারা দেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
সারা দেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা

সারা দেশ উত্তাল ছিল ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
সারা দেশ উত্তাল ছিল ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে

‘পানি খাওয়াতে মিরপুর থেকে এসে ফার্মগেটে হিটস্ট্রোক করেন আঙ্কেল’

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
‘পানি খাওয়াতে মিরপুর থেকে এসে ফার্মগেটে হিটস্ট্রোক করেন আঙ্কেল’

সড়ক-রেলপথ অবরোধ, শাহবাগে কর্মসূচি

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
সড়ক-রেলপথ অবরোধ, শাহবাগে কর্মসূচি

ছাত্রদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, দেশটা তারাই স্বাধীন করেছে

সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর ০৩:৩৫

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আকাঙ্ক্ষা ও আজকের রাজনীতির প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আমরা দেখতে পাচ্ছি ‘যে লঙ্কায় যায় সেই রাবণ হয়’।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৬ বছর আওয়ামী লীগের ছিল ভয়াবহ দুঃশাসন। এই দলের নেতাদের কাজ ছিল শেখ মুজিব ও তার পরিবারের গুণগান গাওয়া, অর্থ লুটপাট করা, সেটি পাচার করা।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়। তারা ভাবে, দুই একটা মিছিল করলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে, এগুলো এদের গুরুরা হয়তো শেখায়।

ছাত্ররা আমাদের সন্তান সমতুল্য, তাদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, দেশটা তারাই স্বাধীন করেছে, আর কেউ জীবন দেয়নি। বিএনপিসহ বিরোধীদল গুলোর হাজার নেতাকর্মী জীবন দিলো তাদের হিসাব নিকাশ কে করবে?

‘শুধু নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি‘ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়ক সারজিস আলমের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ভোট কি এতো সোজা? ভোট তো গণতন্ত্রের প্রতীক। ভোটের জন্যই তো ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ২৪ লড়াই তো হয়েছে বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান। আর এরা বলেন, নির্বাচনের জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। তাহলে কি, কিসের জন্য যুদ্ধ, এতো আত্মত্যাগ? ভোট কি এতোই হেলাফেলার বস্তু? অর্থাৎ এরা (বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন) গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়। তারা হয়তো ভাবে, দুই একটা মিছিল করলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে, এগুলো এদের গুরুরা হয়তো শেখায়।

তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে নির্বাচন দেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দেশ সংস্কার করবে।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, ইউনূস সরকারকে সমর্থন করি, কিন্তু ভবিষ্যতে করবো। আপনারা আজীবন ক্ষমতায়। থাকার চেষ্টা করবেন না। ১০-২০ বছর ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না। যারা আওয়ামী লীগের কুশীলব ছিল, ১৬ বছর ধরে হালুয়া রুটি খেয়েছে, সুবিধা নিয়েছে, এরা এখনো বহাল তবিয়তে আছে, এদেরকে সরাতে হবে। এটি শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দল গুলোর দায়িত্ব বটে।

 

মন্তব্য করুন


Link copied