আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

কিশোরীগঞ্জে সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বাবার মরদেহ দাফনে বাধা

শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর ০৪:২৮

Advertisement Advertisement

স্টাফরির্পোটার,নীলফামারী॥ সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় আবু মোতালেব (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উঠানে ফেলে রাখেন সন্তানেরা। এতে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার পর শুক্রবার(২৯ নভেম্বর) রাতে মরদেহ দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের কিশামত বীচচরণ মিস্ত্রিপাড়া এলাকায়। এর আগে বৃহস্পতিবার(২৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেকিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বৃদ্ধ মারা যান। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজনু মিয়া মধু  বলেন, মৃত মোতালেব তার স¤পত্তির ভাগ দুই মেয়ে ও প্রথম স্ত্রীকে লিখে না দেওয়ার কারণে মেয়েরা মরদেহ আটকে দিয়েছিল। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে রাতে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। 
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আবু মোতালেব তার প্রথম স্ত্রী মতিয়া বেগম ও তার দুই মেয়েকে রেখে হাজেরা বেগম নামে এক নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সকল স¤পত্তি থেকে বঞ্চিত করেন। এবং তাদের কোনো খোঁজখবর নেননি। তিনি প্রথম স্ত্রীকে বাড়ির বাইরে রেখে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরা বেগমকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। পরে এলাকাবাসীর সহায়তার তার প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ের বিয়ে দেয়া হয়। প্রথম স্ত্রী মতিয়া বেগম বাড়ির বাইরে মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকেন। এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে মোতালেব হঠাৎ অসুস্থ পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পর শুক্রবার সকালে তার মরদেহ দাফনের জন্য নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তার প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ে এসে সম্পত্তি তাদের নামে লিখে না দেওয়ায় মরদেহ দাফনে বাধা দেন। এতে স্থানীয়রা মীমাংসার করে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মৃত মোতালেবের শ্যালক বেলাল মুন্সি জানান, আমার দুলাভাই বেঁচে থাকতে দুই বিয়ে করেছিলেন। তিনি তার বড় স্ত্রী মানে আমার বোনকে কিছু না দিয়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও ওইঘরের এক সন্তানকে সব সম্পত্তি লিখে দেন । তার বড় স্ত্রীর মেয়েদের সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় তার মরদেহ দাফন বাধা দেয়। মরদেহ আটকে রাখার পর স্থানীয়রা মীমাংসা করে মরদেহ দাফন করেন। তিনি আরো জানান, মৃত ব্যক্তির ভাইয়েরা দায়িত্ব নিয়েছেন, তার বড় স্ত্রীর দেনমোহর ও আমার দুলাভাইয়ের সম্পত্তির অংশ তার ছোট স্ত্রীর থেকে নিয়ে বড় স্ত্রীর মেয়েদের লিখে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। 

মন্তব্য করুন


Link copied